কবিতার রাজপুত্ররা আজ কোথায়!

সুব্রতর এখনকার কবিতা বাজে লাগে। মাসুদ খানের গুলিও। গৌতম চৌধুরীও ভালো লাগে না। না মৃদুল দাশও। আমার রুচিরই সমস্যা হবে।

রণিজৎ দাশ উপসংহারের কবি। বাচ্চাদের জন্য ঠিক আছেন। জয় গোস্বামী এখন জাস্ট ফালতু। উৎপলকুমার বসু — এক সময় ভালো লিখতেন। এখন আর নিজেরেও অনুসরণ করতে পারেন না। বিনয় অতি প্রশংসিত। 

শক্তি ঠিক আছে। ফরহাদ ইবাদত নামায় কসরৎ করছেন। কিন্তু মেঘ মেশিনের সঙ্গীতে বা দরদী বকুলে চমৎকার। আল মাহমুদ রাবীন্দ্রিক। আবদুল মান্নান সৈয়দ অনুবাদ কবি। সৈয়দ হকের কয়েকটা কবিতা ভালো। কিন্তু সারাজীবন নিজের প্রতিভার বাইরে বাইরে তেল দিয়া আর সং সাইজা আর ভেচকি মাইরা কাটাইলেন। শামসুর রাহমান কবি হিসাবে বাংলাদেশের দুঃখ। শহীদ কাদরীর আনন্দ শামসুর রাহমানরা ওনারে দেখতে পারে না। নির্মলেন্দু গুণ শুদ্ধ কবি থাকার সাধনায় ঢাকার একটি স্থিরচিত্র হইয়া রইলেন। তিনি যাই লিখেন তা ভালো গদ্য হইতে পারে। গরীবদের জন্যে গুণের দান শুদ্ধ বাংলা ভাষা।

জীবনানন্দ দাশ বাংলাদেশের ইউরোপ। তবু নজরুলের চাইতে তিনি বড়। রবীন্দ্রনাথ মিষ্টি কবি। মধুসূদনের নখের যোগ্য বটে। নজরুল অতি খারাপ-গদ্যলেখক ও রবীন্দ্রনাথের চাইতে বড় মাপের প্রতিভা। কিন্তু বহু শিশুতোষ বড়দের কবিতা লিখা গেছেন।

তরুণরা তরুণই। পুরানা কবিদের সঙ্গে অন্ত্যমিল দিয়াই তারা যেহেতু কবিতা লিখতে পারতেছে সুতরাং কবি হইতে বহুদূর।

৮/৯/২০১৪

 

Leave a Reply