বেশির ভাগের নিজের নামটি বাপের আমলের—তা বদলানো হীনম্মন্যতা নয়! – ২

alamgir nishad
আলমগীর নিষাদ

 

“আমি এইটুকু অবশ্য বলতে চাইছি যে অন্য ধর্মাবলম্বিদের মতো ধর্ম সম্প্রদায়জাত চিহ্ন বজায় রাইখা বাঙালি মুসলমান আধুনিক হইতে অসুবিধা ফিল করেছে।” / আলমগীর নিষাদ

 

আলমগীর নিষাদের উত্তরে:

আপনি বললেন, “বিষয়টা যতখানি না তর্কের, তারচে বেশি আত্মবোধনের।” তা তর্কই তো আপনি করতেছেন। অন্যের তর্ক না শুনবেন আর নিজেরটা বলবেন—তার নাম দিলেন আত্মবোধন? বিষয়টা তর্কেরই।

মুসলমানদের নিজ নাম গ্রহণ, রাজারাজরাদের দেওয়া নাম গ্রহণ এগুলার ইতিহাস সাতচল্লিশ সাল থিকা শুরু হয় নাই। কাজেই আপনি যে আধুনিকতার বোতলে ঢুকাইয়া জোনাকি পোকাদের নামগুলারে নীল নীল রঙে দেখতে চাইতেছেন—নামগুলা কেবল সেই নীলে স্থিত নাই।

নামগ্রহণের পদ্ধতির সমালোচনাই তো আপনি করতেছেন। নাকি?

তা আপনার সমালোচনাটা কী? মুসলমানের সন্তানেরা বাপের দেওয়া নাম বদলায় এইটা একটা সমালোচনা। পরে নিজেই দেখাইলেন হিন্দু বা খ্রিষ্টানেও বাপস্‌নাম বদলায়। গুড, এইখানে মুসলমান-হিন্দু-খ্রিষ্টান এক হইল। আপনার আধুনিকতার চালুনি এইখানে কাজ করে না। যেহেতু নাম জিনিসটা আধুনিকতার আগে থিকাই লোকে বদলায়। এইটুকুতে রাজি তো?

দ্বিতীয় আপত্তি এই রকম, আপনার: হিন্দু বা খ্রিষ্টান লোকে নাম বদলাইলেও বংশের লতিকাটুকু বা গোমেজ বা গঙ্গোপাধ্যায়টুকু, চ্যাটার্জিটুকু ছাড়ে না বিধায় তারা আধুনিকতার লাইনে যায় না। নাকি কম যায় বললেন? অথচ আধুনিক হইতে চাওয়া মুসলমানের বাচ্চারা এই পদবী বা বংশনামগুলাও ছাইড়া রুটলেস হইয়া যায় কেন, কী কারণে! আমি বলতে চাই, এইখানে আধুনিকতা খুঁজলে আপনি হিন্দুয়ানি বা খৃষ্টানি পথে আছেন।

আপনি বললেন, “মানুষের পরম ভাবের জগত বিনাশ কইরাই কেন বাইড়া ওঠে আধুনিকতা!” আপনার কথা আপনার থাকুক। মানুষের পরম ভাবের জগত বিনাশ কইরা কইরা অন্য পরম ভাবের জগতও তৈরি হয়। পরম ভাবের বাইরে যাওয়ার সাধ্য মানুষের নাই। আপনার ছাড়তে চাওয়া আধুনিকতার জগতও পরম ভাবেরই জগত। বলার বিষয়, ইসলামের পরমে বা ধর্মের জগতে নামের বড়াইয়ের বা ধারাবাহিকতার সাজেশন নাই। বরং উল্টাটাই আছে। এইটারে যদি আধুনিকতা বলেন সে আধুনিকতার অনুশীলন ইসলামেই শুরু হইছে।

ইসলাম বংশ, পিতা, গোত্র, চৌহদ্দি দিয়া পরিচিত হইতে জোর করে না। ইসলাম নিখিল মানবে বিশ্বাস করে, ফলে যদি শ্রুতিমধুর লাগে, শুনলে কাব্য লাগে, যদি ইচ্ছা করে তাতে আধুনিক হউক না হউক মুসলমানের সন্তান নিজের নাম চাইলে সলিম উল্লাহ, বা ছলিম উল্লাহ বা সলিমুল্লাহ সবই রাখতে পারে। এমনকি স্যালিমিউলাতে মুসলমানের সমস্যা নাই। এই সমস্যা হিন্দুর বা খৃষ্টানের। ঐতিহ্য বা বংশগৌরব মুসলমানদের ধর্মের জরুরি উপাদান না। আল্লার বান্দা—এই পরিচয় ছাড়া মুসলমানের অন্য পরিচয় নগণ্য। বাপের বা বংশের কর্তৃত্ব বা গৌরব প্রচার খৃষ্টান বা হিন্দুর কাজ হইতে পারে। ইসলামে তেমন নব্য জাতীয়তাবাদী আফটার শাহবাগিয়ান মুসলমানি বাংলার গৌরব করার সুযোগ নাই। আপনি লোকাল মুসলমানের সন্তান বিধায় হিন্দুত্বের অবশেষ কাটাইয়া উঠতে অক্ষম হইতে পারেন চাইলে। প্যান ইসলামিকরা আপনারে মাফ কইরা দিবে নিশ্চয়ই। পিতৃপরিচয় আপনার জরুরি আইটেম। সকলের তা নয়। এই নয় জিনিসটা আধুনিক না, ঐচ্ছিক ও ইসলামিক।

২৮/৫/১৩

 

বাঙালি মুসলমানের নিজের নাম নিজে নাম গ্রহণ করা নিয়া মডার্নিজমের বিচার
আলমগীর নিষাদ

বিষয়টা যতখানি না তর্কের, তারচে বেশি আত্মবোধনের। ‘বেশির ভাগের নিজের নামটি বাপের আমলের–তা বদলানো হীনম্মন্যতা নয়!’ শিরোনামে ব্রাত্য রাইসুর বিশ্লেষণের সাথে আমার দ্বিমত অল্পই। প্রয়োজন আরেকটু খোলাসা করার, যা দুই লাইনে সম্ভব হয়া ওঠে নাই। বিষয়টা এই রকম যে সাতচল্লিশ সালে বাঙালি মুসলমান ইসলামের ঝাণ্ডা নিয়া তার আত্মপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শরিক হইছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার পরে সেই ইসলামের দণ্ডই তার উপর খবরদারি হইয়া বসলে এই ট্রাজেডির সূত্রপাত হয়। একদিকে বাঙালিত্ব নিয়াও ছিল তার ঐতিহাসিক আত্মপ্রতিষ্ঠার ঘাটতি। ফলে এই পর্বে আশরাফি ইসলামের বিরুদ্ধে আতরাফি ইসলামের পতাকা নিয়া তার আর দাঁড়ানো সম্ভব হয় নাই। খাড়াইতে হইছে ঔপনিবেশিক মডার্নিজম আর কংগ্রেসি সেকুলারিজমের পতাকা তলে, বাঙালিত্ব নিয়া। ফলে তথাকথিত সেকুলারিজমের ঝাণ্ডা নিয়াই তাকে পুনরায় স্বাধীন হইতে হইছে। তো এই করতে গিয়া শুরু হয়া যায় বাঙালি মুসলমানের মডার্নিজমের পথের দ্বিতীয় যাত্রা। আর এই সময় থিকাই বাঙালি শিক্ষিত মুসলমানের মধ্যে নিজের নাম নিজে গ্রহণের পষ্ট ঝোঁক তৈয়ার হয়। যেইটারে উদ্ভূত এই মডার্নিজমেরই একটা পার্টস হিশাবে দেখা যাইতে পারে। রুচিসম্মত ও শ্রুতিমধুরতার ব্যাপার তো বটেই। এই রুচি ও শ্রুতিমধুরতার বয়ান বলাবাহুল্য পুরাটাই আধুনিকের। ইতিহাসের ধারায় নামের যে বিবর্তন সংঘটিত হইয়া থাকে, সাতচল্লিশের পরে আইসা তাতে এক উল্লম্ফন লক্ষিত হয়।

মানুষ যখন বয়োপ্রাপ্ত হন, তখন তিনি আর তার বাপের কালের থাকেন না। এই বিচার অতীব নিষ্ঠ। আবার তার চিন্তাচেতনের ক্ষেত্রও বদলাইয়া যাইতে পারে। এমনকি তার বাপ স্ব-মূলে ছিলেন না বইলাও প্রতিভাত হইতে পারে। ধর্মান্তরিত হওয়ার ব্যাপার তো আছেই। আমি, বয়োপ্রাপ্ত হইলে লোকেরা দ্বিতীয়বার নাম গ্রহণ করুক, এ মতের পক্ষেই ওকালতি করতে চাই। আমি চাইব মানব সমাজে দ্বিতীয়বার নাম গ্রহণের রেওয়াজ চালু হউক।

সমস্যটা এইখানে না। প্রশ্নটা উঠছে কোন ধারনাবর্তী হইয়া নিজে নিজের নাম গ্রহণ করলাম। এতে আমার রুট নাশ হইলো কিনা! পারিবারিক, সামাজিক, সাম্প্রদায়িক ও জাতীয় ঐতিহ্য, চৈতন্য বা থিওলজি ব্যহত হইতেছে কিনা। হইলে কতটুকু হইলো। বিষয়টা জাতি বা সম্প্রদায়ের শুদ্ধ একটা হীনমন্যতার দোষ খোঁজা না। আসলে ঘটনাটা কী ঘটলো, বাহাসটা এইখানে। সাতচল্লিশের পর আধুনিকতার পথযাত্রী বাঙালি মুসলমানেরা নিজ নামের ক্ষেত্রে সচেতন হইয়া উঠছেন। বলাটা এই যে নামের সামাজিক বিবর্তনের চেয়ে এইখানে মডার্নিজমের বয়ানই মুখ্য নিয়ামক হইছে। মুসলিম নামের মতো হিন্দু নামে এইমতো কোনো বিপ্লব দেখা দেয় নাই। পরবর্তীকালে হিন্দু-মুসলিম উভয়ইকেই আবার নামের ব্যাপারে ধর্ম-ঊর্ধ্ব হওয়ার শ্রুতিমধুরতার দিকেও আগাইতে দেখা গেছে। তবে তাও মুসলিমদিগের ক্ষেত্রে অধিকতর প্রযোজ্য হইছে। কারণ হিন্দু বা অন্য ধর্মের লোকেদের সম্প্রদায়জাত নাম ধারন কইরা আধুনিক হওয়ার রেওয়াজ থাকলেও মুসলিম সাইন নিয়া রুচিসম্মত, শ্রুতিমধুর সর্বপরি আধুনিক হওয়া প্রায় অসম্ভব বইলাই ধার্য হইয়া যায়! তো এই দোষ শামসুর রাহমান, ব্রাত্য রাইসু বা এই দীন আলমগীর নিষাদের ব্যক্তিগত না।

বাংলাদেশে মডার্নিজমের হযরত আলি হুমায়ুন আজাদ তার ‘কবি অথবা দণ্ডিত অপুরুষ’ বইতে ঢাকার এনলাইটেড সমাজের একাংশ এই কবিশিল্পীদের স্বকৃত নাম গ্রহণ প্রসঙ্গে জানাইতেছেন ‘তুমি তাইলে হইতে যাইতাছো কবি মোহাম্মদ আবুল হোসেন তালুকদার। কবিতা না লেইখা একটা একতারা লইয়া বাজারে গিয়া ওঠ, গলা ছাইরা উত্তর দক্ষিণ বন্দনা কর, এই নামে ভাল কবিয়াল হইতে পারবা, দোস্ত; একটা লালন ফকিরও হইয়া যাইতে পার।.. খুব লজ্জা পেয়েছিল হাসান, সত্যিই তো, এই নামে কবি হওয়া যায় না।..সেই শুরু হয় ভাঙাচোরা; প্রথম সে তালুকদার বাদ দিয়ে লেখে- আবুল হোসেন। না, আবুল হোসেন দিয়ে চলবে না; আবুলটিকে বাদ দেয় সে, হোসেনটিকে করে হাসান, এবং দারোগা মোহাম্মদ রশিদ আলি তালুকদারের নামটি তার মনে পড়ে। হাসান এবং রশিদ পাশাপাশি বসিয়ে দেখে চমৎকার দেখাচ্ছে, বেশ চমৎকার শোনাচ্ছে। হাসান রশিদ।‘ এতে মর্ডানিজমকে কী চমৎকার দেখা গেল! রুচিসম্মত ও কী শ্রুতিমধুর!

তো ‘সলিম উল্লাহ খান’ ‘সেলিম খান’ না হইয়া মাতৃভাষার উচ্চারণে ‘সলিমুল্লাহ খান’ হইলেন, এইটার কৃতিত্বটা আমি তাকে দিতে চাই। ‘সলিমুল্লাহ’ খামাখা ‘ছলিমুল্লাহ’ হইতে যাইবেন কেন! তিনি ‘উল্লাহ’রে ‘মুল্লাহ’ পর্যন্ত নিয়া যাইতেছেন। ‘ছ’ গ্রহণের দায়ও তাকে নিতে হবে কেন! আমি বলতে চাইতেছি, আমাদের আধুনিকতার ইতিহাস মানেই এইটা ঘটতেছে। খাঁটি আরবি অ্যাকসেন্ট রক্ষার আশরাফপনা যেমন এক বিমারী ছিল, মডার্নিজমের রুচি ও শ্রুতিমধুরতাও সেইমতো মড়ক হইয়া দাঁড়াইলো। আর মডার্নিজমের সমালোচনা করাটা আশরাফি ধর্মীয় পরিমণ্ডলে ফিরা যাওয়া বুঝায় না। তো, নামের ক্ষেত্রে জাতীয়ভাবে আমরা এই কাজটা করছি। নাম বদলকারীরা মডার্ন, মডার্ন মুসলিম হইছি বা হই নাই, যারা বদলাই নাই তারা মডার্ন, মডার্ন মুসলিম হইছি বা হই নাই কিংবা যারা বাপের কাছ থিকা ‘স্ব-কালের’ নাম পাইলাম তারা মডার্ন, মডার্ন মুসলিম হইলাম কী হইলাম না- এইটাও মুখ্য প্রচার না। সলিমুল্লাহ এইমতো নাম বদলাইয়া অসাধু আধুনিকতার প্রতিবাদি হইয়া নিজস্ব সংস্কৃতির পথে বড় হাঁটতেছেন- কথা আমার এইটাও না। এসবই ঘনঘটার কথা মাত্র। নাম বদলের একমাত্র কারণ হীনমন্যতাজাত তাও আমার সিদ্ধান্ত না। তবে এইটা একটা কারণ তো বটে। আমি এইটুকু অবশ্য বলতে চাইছি যে অন্য ধর্মাবলম্বিদের মতো ধর্ম সম্প্রদায়জাত চিহ্ন বজায় রাইখা বাঙালি মুসলমান আধুনিক হইতে অসুবিধা ফিল করেছে। আর তথাকথিত ইসলামি সালতানাতের দুইশো বছর পর কৃষক বাপ তার ছেলের নাম নবাব-বাদশার নামে রাখনটাকে আশরাফি ফেনোমেনাও বলে না। কারণ সময়ের এতক্ষণে আইসা ক্ষয়িষ্ণু আশরাফ আর অন্তজ আতরাফরা চৈতন্যে একাকার হইয়া জাতীয় হইতে শুরু করতেছে। এইভাবে প্রবলপরাক্রমশালী বাদশা হারুণ অর রশিদ কিংবা ইরাকের সাদ্দাম হোসেনও ছোটলোকের ঘরের পোলাপানদের নাম হইয়া যায়। একে বলে কল্পিত উজ্জল অতীতের জজবা মনে ভাইবা পর্যুদস্তের আত্মমর্যাদা লোভের গূঢ়ৈষণা।

আমার নিজের নাম ছিল ‘রহমত উল্লাহ আলমগীর’, আর ডাকনাম ‘নিষাদ’, পরে আরো দুইটা যোগ হয় ‘কানা’ এবং ‘কবি।’ তো আমি বড় হইয়া নামটারে প্রিসাইজ বা এডিট কইরা ফেলি। সনদের ‘আলমগীর’ আর ডাকনের ‘নিষাদ’ জুইড়া শ্রুতিমধুর হই। আধুনিকতার এই ইতিহাস পুরা জাতির। এতে হীনমন্যতা যেমতো থাকতে পারে, আছে আধুনিক বয়ানে গইড়া ওঠা রুচি ও শ্রবণমধুরতার দণ্ড। এমনকি যারা সিরিয়াস ধারার আধুনিক হন নাই, কনজুমার ধারায় হইছেন, আমার খালাতো বোন ‘জুলেখা’, বয়োপ্রাপ্ত হওয়নের পর, যাকে বলে আপটুডেট বা টেডি হইয়া ‘জুলি’ নাম ধারণ করেন। এর পর তার বাপেও জুলেখা নামে ডাকার সাহস পাইতো না, আমি নিষাদ নিজে সাক্ষি। আমাদের ভাইবোনদের সকলেরই ডাকনাম মোটামুটি ‘আধুনিক’ আছিল। খালাতো বোনেরা বিত্তে উপ্রে ছিল, খালি এই ‘নামের’ কারণেই আমি আমার নিজের বোনেদের তাদের সাথে ভাব লইতে দেখছি। আমার সহকর্মী ‘জাকির’ এই সেদিনও ‘জ্যাক’ নাম ধারন কইরা শ্রুতিমধুর হইছেন। এই ধারায় প্রবর রিপন, মুযীজ কবন্ধ, নৃপ অনুপ, কৃষ্ণেন্দু কাশ্যপ, অদ্বৈত মারুত, নির্লিপ্ত নয়ন- সকলেই নামের শ্রুতিমধুরতার হাঁসের ঝোল পান করতেছেন। বাঙালি খ্রিস্টানেরা কিন্ত ধর্মান্তিরত হইয়াও নামে রুট বজায় রাখছেন। যেমন সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের নাম; আমার এক প্রাক্তন সহকর্মীর নাম টমাস প্রবাল সেন, খ্রিস্টান হইয়াও তারা সেন ছাড়েন নাই। নাম গ্রহণের এই ‘ধারা’গুলা তুইলা ধরাই আমার উদ্দেশ্য।

জগৎ জুইড়া মডার্নিজম প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া শুরু করছে বেশতক আগে থিকাই। মানুষের পরম ভাবের জগত বিনাশ কইরাই কেন বাইড়া ওঠে আধুনিকতা! আমাদের দেশে শাহবাগ থিসিসের পর মডার্নিজমও এই প্রশ্নের মুখে দাঁড়াইয়া পড়ছে। এইটা দুনিয়ার মধ্যেই দামি ব্যাপার। রাজনীতির এই লোকাল গেমটা দুইটা পরিবারের মধ্যেই আটকাইয়া থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু চলিত মডার্নিজম নিয়া যে প্রশ্ন উত্থাপিত হইছে, এইটাই হইলো এদ্দেশীয় মানুষের চিন্তার বৈপ্লবিক উত্তরণ। ব্যর্থ নকশাল আন্দোলনের ক্রিয়ার ভিতর থিইকা নাকি সাবঅলটার্ন স্টাডিজের মতো একটা মৌল জ্ঞানকাণ্ডের পয়দা হইছে। মহাত্মা আবদুল হক বলছেন, বাঙালি মুসলমানের ইতিহাস হইলো একটা প্যাসিভ মানবগোষ্ঠীর ইতিহাস। তাই্ হয়তো সক্রিয়া থিকা নয়, শাহবাগের প্রতিক্রিয়া থিকাই উইঠা আসছে মডার্নিজমের এহেন ক্রিটিক। আশা করতেছি এই জ্ঞানটি কাণ্ড ছড়াইয়া মহিরুহ হইবেক।

২২/ ০৫/ ২০১৩

লিংক: বেশির ভাগের নিজের নামটি বাপের আমলের–তা বদলানো হীনম্মন্যতা নয়! / ব্রাত্য রাইসু

[কৃতজ্ঞতা: আলমগীর নিষাদ ]

 

Leave a Reply