রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষতা

নিরপেক্ষতা অবশ্যই আপেক্ষিক। সে কারণেই এটি নিরপেক্ষতা।

একাধিক পক্ষের সাপেক্ষে তার অবস্থান। নিরপেক্ষতা যদি পক্ষ সমূহের সাপেক্ষে না হইত বা আপেক্ষিক না হইত তবে সেও একটা পক্ষ হইয়াই থাকতো। তার আর নিরপেক্ষ হইতে হইত না।

কার্যক্ষেত্রে নিরপেক্ষ থাকে না মানুষ। সেইটা আচরণ মনোবিদ্যার বিষয়। ‘নিরপেক্ষতা’ পদ-এর অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা সেটি নয়। এবং ‘মানুষ তো নিরপেক্ষ থাকে না’ মূলক হাহাকারতা দিয়া রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ না থাকার অজুহাত তৈরি হয় না।

রাষ্ট্রকে অবশ্যই ধর্মনিরপেক্ষ হইতে হবে।

কারণ রাষ্ট্র জন্মগত ভাবেই ধর্মবিরোধী প্রকল্প। নাইলে ধর্ম থাকতে রাষ্ট্রের উদ্ভব হয় কীভাবে!

অনেকে বলবেন, তবে যে ধর্মের নামে চলা রাষ্ট্রের দেখা মিলে?

ওগুলা ধর্মই, রাষ্ট্রের দখল নিছে ওইসব জায়গায় ধর্ম।

ধর্মরে যতটা পারলৌকিক বা ইতিহাসের বা আলাপ না করার বিষয় সাব্যস্ত করা হয় ধর্ম তার চাইতে জাগ্রত, বাস্তব ও ভবিষ্যৎময়। ফলে সব রাষ্ট্রই ধর্মের চক্করে পুনরায় ঢুইকা যাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে থাকতে থাকে।

২৭/৩/২০১৬

Leave a Reply