লেটলতিফে বিএনপির কী ক্ষতি

আবদুল লতিফ সিদ্দিকী (জন্ম. ১৯৪৩ )
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী (জন্ম. ১৯৪৩ )

 

“হজ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মন্ত্রিত্ব ও আওয়ামী লীগের সদস্য পদ হারানো আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী দেশে ফিরেছেন।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
২৩ নভেম্বর ২০১৪

 

বিএনপির আন্দোলন জোরেশোরে শুরু হবে হবে টাইমে লতিফ আইলেন!

এখন বিএনপি যে আদৌ সেক্যুলার না একান্তই জঙ্গি সম্পৃক্ত দল সেইটা তাদের আন্দোলনে লতিফ ইস্যু যোগ করলে দেখানো সহজ হবে। তাতে আওয়ামী লীগের লাভ। বাইরের আমেরিকান বিশ্ব দেখবে বিএনপি আসলে ইসলাম লইয়াই আছে। এদেরকে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে বিশ্বাস করা যাবে না।
আবার লতিফ ইস্যুতে উদাসীন হইলে ধর্মের কলেরা বিএনপির থিকা আলগা হইয়া জামাতের দিকে সরতে থাকবে। তাতে আওয়ামী লীগের যে কী লাভ সেইটা বিএনপি জানে।

তাইলে বিএনপি কী করতে পারে? বিএনপি এই করতে পারে যে, লতিফের সমালোচনা করল কিন্তু আন্দোলন করল না।

তাইলে কে আন্দোলন করল। আন্দোলন করল জামাত বা সমমনা অন্য দলগুলা।

তাতে কী হইল?

তাতে হইল, বিএনপির রাজনৈতিক আন্দোলন লতিফ-বিরোধী ধর্মীয় আন্দোলনের সামনে আবারো লঘু হইয়া যাওয়ার একটা বিপদের মধ্যে পড়তে যাইতেছে।

২.
এইসব ভাইবাই লতিফ এই লেট করলেন তা নাও হইতে পারে। হয়তো বিধাতাই দেরি করাইয়া লতিফেরে তসলিমার মাতৃভূমিতে পাঠাইছেন, যাতে বিএনপির আন্দোলন ধরা খায়।

বিধাতা হউক আর লতিফের হঠকারি সিদ্ধান্তই হউক, বিএনপির ক্ষমতা দখলের আন্দোলন লতিফ-বিরোধী ধর্মভিত্তিক দলগুলির আন্দোলন দিয়া ভাগ হইতে যাইতেছে।

৩.
আওয়ামী লীগের রাজনীতির কাছে বিএনপি স্রেফ শিশু শিশু হইয়া যাইতেছে। তৃণমূলে না থাইকা কোনো ছায়া সরকারে থাকলে যা হয়।

এইটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারসাম্যহীনতা বা ভাঁড়ের আধিক্য তৈরি করবে। ইতিমধ্যে শাসক দলের অনেকগুলি ভাঁড়ের হম্বিতম্বি আমরা শুনছি। এইটা আরো বাড়বে।

নাগরিক অধিকার রক্ষায় বিরোধী দল হিসাবে বিএনপির কণ্ঠহীনতাও এই দলরে একটা দীর্ঘমেয়াদী ভার্চুয়াল চিল্লায় বসাইয়া দিছে। আর কত দিন!

২৪/১১/২০১৪

Leave a Reply