
আমি কীভাবে বুদ্ধিজীবী, কী কারণে বুদ্ধিজীবী এইটা অনেকে জানতে চায়। শ্লেষাত্মক ভঙ্গিমায় জিগায়। বুদ্ধিজীবীর জন্যে যে গরিমা এই অবুদ্ধিজীবী সমাজ আপ্রাণ বরাদ্দ রাখতেছে তা তারা আমারে দিতে রাজি না। আশ্চর্য!
তারা কী কারণে বুদ্ধিজীবী বলে হাঁদারামদের, অল্পবুদ্ধি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের তা তারা স্পষ্ট করে না। কিন্তু তারা যে তাদের বুদ্ধিজীবী বলে আমি মনে করি ঠিকই বলে। বুদ্ধির কোনো শীর্ষবিন্দুর আবেশে লোকে বুদ্ধিজীবী হয় না।
বুদ্ধিজীবী শুনলে সোসাইটি-টি ভক্তিগদগদ শুদ্ধভাষার বাকশো হইয়া যায়! ব্যাকগ্রাউন্ডে বোধহয় একুশে ফেব্রুয়ারি, ছাব্বিশে মার্চ আর ষোলোই ডিসেম্বর বাইজা ওঠে। পত্রিকার দিবসলেখকেরা বুদ্ধিজীবীর মর্যাদা পাইয়া আসতেছে এদের কাছে। বাকিরা সব ওনাগো বাণীশোনা মেষশাবকের কান আর কি!
বলবার কথা, বুদ্ধিজীবী পদখানি তেমন মহামহিমদের জন্যে তুইলা রাখা নাই। তর্ক-বিতর্ক, চিন্তামূলক লেখালেখি যারা করে তারা সকলেই বুদ্ধিজীবী। আমিও তাই বুদ্ধিজীবীই। আর ওই বাণীদাতারাও বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধিজীবীদের তুলনামূলক আলোচনায় ওনারা হয়তো পরাজিতই হইবেন–তাই বইলা ওনাগো বুদ্ধিজীবীত্ব তাতে হ্রাস পায় না।
২৬/৭/১৩