১.
দেখলাম বেশ একটা গুরুতর সংকট ওনারা আবিষ্কার করছেন। যে, ইহুদি পন্য বর্জন করতে হইলে জাকারবার্গের ফেসবুকও বর্জন করতে হবে। নাইলে নাকি ইহুদি পন্য বর্জন করা যাবে না।
ভূয়া তত্ত্ব। মুসলমানরা ফেসবুক কইরা, কিছু ইহুদি পন্য কিন্না বাকি ইহুদি পন্য না কিনলেই পারে।
মুসলমানদের এই না কিনাটা যুদ্ধকৌশল। ইহুদিরা না খাইয়া মরবে এইটা তো আর তাদের কাম্য না। সুতরাং তেমন পন্য কিনা মুসলমানরা বন্ধ করতেই পারে যা বিক্রি না হইলে জায়নিস্ট ইহুদির মুনাফা কইমা আসবে। ইহুদিবাদীরা মুসলমান হত্যাকারী মিসাইল
একটা কম বানাইতে পারবে।
২.
এই পন্য না কিনার প্রতিজ্ঞারে ইসলামবিরোধী সেক্যুলার পক্ষ ধইরা নিছে মুসলমানদের অভিমান। প্যালেস্টাইনের পক্ষে মুসলমানরা যদি নিজ দেশ থিকা ব্যক্তিগত ভাবে যুদ্ধ চালাইতে চায় তাইলে ইজরাইলের পন্য না কিনার বিকল্প নাই।
যুদ্ধকৌশলরে অভিমানে টার্ন করাইতে অনেক খাটতেছে সেক্যুলার জিহাদিরা। তাদের কথায় কান না দিয়া মুসলমানরা নিজেরাই ঠিক করতে পারে কোনটা কিনবে আর কোনটা কিনবে না। পন্য বর্জন অতি অবশ্যই ভালো কৌশল। গান্ধীও এই কাজ করছেন।
সেক্যুলার আমেরিকাপন্থী ও ইসলামবিরোধী কম্যুনিস্টরা মুসলমানদের এই সক্রিয় না কিনার অবস্থানরে হাস্যরস দিয়া উড়ায়া দিতে চায়। যে তুই যদি না কিনলি তবে তো সবই না-কিনিবি! হা হা। যেন মুসলমান মাত্রই হইলে সব, নাইলে নাই।
মুসলমানরা চাইলে অতি প্রয়োজনীয় ইহুদি পন্য বর্জন না কইরা কসমেটিকস, যন্ত্রপাতি বা বাহারি জিনিসগুলি বাদ দিতে পারে।
ইসলাম পরিস্থিতি অনুযায়ী যুদ্ধকৌশল যখন গ্রহণ করতে যায় তখন ইসলামবিরোধীরা তাদেরকে কট্টরপন্থায় একীভূত করতে চায়। এবং মুসলমানদের দোষ দেয় যে তোমরা কট্টর।
ইজরাইলের পন্য বর্জনে ‘ইহুদি’ জাকারবার্গের ফেসবুকে বিচরণ কোনো সমস্য নয়। যারা ইজরাইলের পন্য বর্জন করতে ইচ্ছুক তারা ফেসবুক বহাল রাইখাই ইজরাইলের পন্য বর্জন করতে পারেন।
ইহুদি পন্য বর্জন খুবই সম্ভব একটা কাজ, মুসলমানে তা না কিনলেই হইল।
জয় ইহুদিবাদ বিরোধিতা, ফেসবুক জিন্দাবাদ!
১৫/৭/২০১৪