কবিতাকে পদ্য বলার কারণ

বিষাদাক্রান্ত কবিতা বা খুব দুশ্চিন্তামূলক কবিতা না হইলে তারে পদ্য বলার চল আছে। কবিতারে পদ্য বলার মাধ্যমে ব্যঙ্গ বা স্যাটায়ারের উপস্থিতি মূলক কবিতা বা তথাকথিত অগভীর কবিতারে কবিতার দুনিয়া থেকে খারিজ করার চেষ্টা পরিলক্ষিত হয়।

কবিতাকে পদ্য ও কবিতায় ভাগ করা চেষ্টা মূলত মেলোডি কবিতার আধুনিক অবস্থানে থাকবার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা।

এমনিতে মেলোডি কবিতাও প্রসঙ্গহীন অবস্থায় হাস্যরসাত্মকই বটে। যেমন বাংলা সিনেমায় যে মেলোডির চাপাচাপি তা হাস্যরসাত্মক। হাস্যরসাত্মক হইলেও যেহেতু কবিতা হবে তাই বিষাদাক্রান্ত কবিতা বা ব্যঙ্গ কবিতাও কবিতাই। পদ্য তা প্রকাশের মাধ্যম।

এমনিতে কবিতা কেন কবিতা হয় না তা নিয়া ভাবনার জিনিস আছে মনে হয়।

বেশির ভাগ টাইমে দেখা যায় পুরানা ভঙ্গিকে ধইরা রাখতে গিয়া কবিতা নষ্ট করে নবীনরা।

ধরেন শামসুর রাহমান বা আল মাহমুদের কবিতার ভাব বা ভঙ্গি বা থিম এখন আউটডেটেড। কিন্তু কেউ চাই্লে তা লইয়া কবিতা লিখতে পারেন। পদ্যপন্থীরা সেইসবরে কবিতা মানতে চাইবেন না। আমি মানি।

আমি মনে করি এখনকার বেশির ভাগ সিরিয়াস ভঙ্গির কবিরা হাস্যরসাত্মক পুরানা বিষণ্ন ভাবরে তাদের কবিতায় আরাধনা করতেছেন। ওগুলা নকল হইলেও কবিতাই।

তবে নেহায়েৎ ভাব নির্ভর কবিতা—তা গভীর বা অগভীর হউক—দুর্বল কবিতার উদাহরণ।

২০১৬/১/১৯

Leave a Reply