ছবির যে ইন্টারপ্রিটেশন হয় তা অনেকে বিশ্বাস করেন না। তাইলে তারা প্রথমত ছবিতে, দ্বিতীয়ত ইন্টারপ্রিটেশনে বিশ্বাস করেন।
ছবি বিশ্বাসের তিনটা লক্ষণ বা হাজেরানা আমি দেখতে পাই:
এক. ছবি বিশ্বাস। এটি একটি ভারতীয় অভিনেতা লক্ষণ। এই লক্ষণটির মৃত্যু হয়েছে।
দুই. ছবি বিশ্বাস বলতে কেউ ছবি আঁকছে এবং তার সেই আঁকাটা ছবি হইছে এই বিশ্বাস।
তিন. ছবি আঁকছে কিন্তু ছবি হয় নাই সেই বিশ্বাস।
প্রথম লক্ষণটির সঙ্গে ছবির যোগ না থাকায় (কিন্তু আবার কী যে শৃঙ্ক্ষলা, ছায়াছবির লগে যোগ আছে!) নামের গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও মূল্যবান এই লক্ষণ বাদ দিতে হইল।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় লক্ষণ একই গন্তব্যে সন্নিহিত। কিন্তু দুই লক্ষণ বাছাই কইরা ছবি-বিশ্বাস-কর্তা কইতে পারে যে “ছবি আঁকলেই ছবি হয় না!”–যিনি ছবি বিশ্বাস করবেন তিনি এই বিশ্বাস না কইরা তো ছবিতে বিশ্বাস করতে পারেন না। নাইলে ‘সব কিছুই ছবি’ এমন সর্বচ্ছবিবাদ আবিষ্কার করতে হয়!
তো, এই ছবি বিশ্বাস করার অর্ধ বুদ্ধিজৈবিক সোশ্যাল ফরফরানির মধ্যেই রইয়া গেছে আমগো সেই আদি প্রকল্প–যে–ছবির ইন্টারপ্রিটেশন হয়। তা শুরু হয় ছবি হইছে কি হয় নাই এই ইন্টারপ্রিটেশন দিয়াই।
অর্থাৎ যারা ছবিরে ছবি হিসাবে দেখতে পায় বা যারা ছবি বিশ্বাস করে তারা ততঃমধ্যে ছবির ইন্টারপ্রিটেশন শুরু কইরা দিছে! সুতরাং ছবির পরবর্তী ইন্টারপ্রিটেশনও হইতে পারে। তার খণ্ডনও সম্ভব। নাইলে ছবিও অসম্ভব। অসম্ভব সকল ইন্টারপ্রিটেশনও।
১/৯/২০১১