সত্যিকারের ফকিরনির পুতেদের প্রতি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কী দৃষ্টিভঙ্গি!

৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি. প্রথম আলো
৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি. প্রথম আলো

সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘ফকিরনির পুত’ গালি দিছেন নাগরিক ব্লগের পুরাতন ব্লগার কাওছার আহমেদ। তিনি নিজের ভুল স্বীকারও করছেন। কথা হইল, ‘ফকিরনির পুত’ গালি এত জ্বালা ধরাইল কেন মধ্যবিত্ত সোশ্যাল সমাজে! ভাবা যাক।

‘ফকিরনির পুত’–সীমিত বা নাই ধরনের অর্থনৈতিক উত্তরাধিকারের পরিচয়ে দেওয়া এই গাইল দেওয়া হইতেছে বাপ নয়–পুত্রের মায়রে ধইরা। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বাপ এড়াইয়া মা নিয়া গাইল দেওয়ার একটা অর্থ–সেই পুত এতই এত যে তার বাপও নাই বা বাপের ঠিক নাই! তাই মায়ের পরিচয়ে বা পিতৃপরিচয়হীনতায় গাইল খাইতে হইতেছে তার। যারা গালি দিতেছেন ও যারা গালি খাইতেছেন কেউও বস্তুত ফকিরনির পুত নন। আলহামদুলিল্লাহ!

কিন্তু তেমন বাপের পরিচয়হীন গরিব মায়ের পুত্রসন্তান সমাজে আছে। তাদের পক্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা সম্ভব হয় না। তাই তাদের জন্যে প্রযোজ্য গালিটি তারা এইবার খায় নাই! যারা গালি খাইছেন যদি তাদের কেউ সত্যিই ফকিরনির পুত হইতেন! সেইটা কেমন হইত! সত্যিকারের ফকিরনির পুতেদের প্রতি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কী দৃষ্টিভঙ্গি তা এই গাইল নিয়া তীব্র অসন্তোষে দৃশ্যমান হইছে!

যারা সত্যিকারের ফকিরনির পুত তারা যেন কখনোই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ না পায়, মিডলক্লাসরে কলঙ্কিত করতে না পারে, সে ব্যাপারে গালিদাতা ও গ্রহীতাদের সজাগ দৃষ্টি কামনা করি।

১৩/৭/১৩

 

1 Comment

Add Yours →

Leave a Reply