জাতীয়তাবাদ অন্যরে ছোট না কইরা আগাইতে পারে না। এই দেশে হিন্দুরা ধর্মীয় সংখ্যালঘু বটে তবে তারাই বাঙালী জাতীয়তাবাদের অগ্রসেনা। বাঙালী হইয়া ওঠা উচ্চকণ্ঠ ও হীনম্মন্য মুসলমানের পক্ষে সাংস্কৃতিক বাঙালীত্ব রাখতে গেলে হিন্দুর পথেই তাকে যাইতে হয়। এবং সে যেহেতু পূজা অর্চনা করতে পারে না সুতরাং ইসলাম-বিরোধীতাই তার পূজা হইয়া দাঁড়ায়। আমাদের সংস্কৃতির সাধনাও সেই পথেই বিকাশমান। এর বিরুদ্ধে যে আরবপন্থী গভীর মুসলমান আর আমেরিকাপন্থী ‘সেক্যুলার-আমরা’ তাদের কোনো কালচারাল অভয়ারণ্য না থাকার কারণে হিন্দুত্ববাদী মুসলমানদের সাংস্কৃতিক শক্তি প্রতাপশালী।
এর সমাধানে ফরহাদ মজহার ও অন্যরা যে ভাবান্দোলন ও বাউল ফকিরদের শরণাপন্ন হন তা খুব স্লো কাজ করে।
এখন মুসলমানদের উদারতা, বিভিন্ন সংস্কৃতি থেকে গ্রহণ ইত্যাদি দেখানোর চাইতে হিন্দু সংস্কৃতির নব্য জাতিভেদ, সংখ্যালঘুদের প্রতি অনুদারতা, মানুষকে ঐতিহাসিকভাবে দেখার প্রায় নিয়তিবাধিত দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদির সমালোচনা শুরু করা যাইতে পারে। কোন কোন পয়েন্টে মুসলমান বাঙালী আদি হিন্দু বাঙালীর তুলনায় অস্পৃশ্য অবস্থায় বিরাজ করে তা সামনে নিয়া আসা যায়।
সাংস্কৃতিক সংখ্যালঘুদের পক্ষে দাঁড়ানো ছাড়া জাতীয়তাবাদের অবসান নাই—ধর্মেরও নাই।
৮/১২/২০১২
1 Comment
Add Yours →