সাহিত্য: ব্যাচেলর, পুরুষ

দুনিয়া জুইড়াই সাহিত্য জিনিসটা একটু ব্যাচেলরদের মতো।

মানে একটা লোক আর তার সমাজ ও সম্পর্ক লইয়া চিন্তা। মেইনলি পুরুষ। যখন নারী লেখে তখনও তাই। পুরুষই।

লেখক ফার্স্ট পারসনে আর থার্ড পারসনে যেইভাবেই লেখুক না কেন মেইনলি একজন ব্যক্তির নিজের দিককার দেখাগুলিই, ব্যাচেলরদের মতো কইরা, আসে।

দেখা বলতে বৈচিত্র্যকে দেখা। আলাদাকে দেখা। বিশেষকে দেখা।

নিখিল ব্যাচেলর চরিত্রটির বিশেষ দেখা বা দৃষ্টিভঙ্গিই সাহিত্য।

এই যারা লেখকরা মারা গেছেন, বড় বড় লেখক, তাদের ব্যাচেলর মার্কা চিন্তাভাবনার প্রকাশই সাহিত্য।

আপনি বলবেন শরৎচন্দ্র, হুমায়ূন বা এই রকম যারা ফ্যামিলি নিয়া লেখছেন?

ওনারাও ব্যাচেলর ভঙ্গিরই। একজন ব্যাচেলর ফ্যামিলি নিয়া লেখলে যা হবে তাই।

সাহিত্য এর বাইরে হয় না, হবে না।

কেবল একাকীত্ব হইলে সাহিত্য হইতো না। ব্যাচেলর হইতে হয়। যিনি ফ্যামিলিগুলিতে উঁকি দেন। কিন্তু দায়িত্ব নেন না।

প্রতিটি সাহিত্যিকই এক অর্থে ব্যাচেলর।

বিশ্বের সব সাহিত্য থেকেই ব্যাচেলর কমানোর চেষ্টা করা দরকার। কতুটুকু হবে কে জানে?

সোসাইটিতে ব্যক্তি তার ব্যক্তিত্ব থেকে বাইর হবে বইলাই সাহিত্য তৈরি করে। অথচ পুরা সাহিত্য ধইরা সেই ব্যক্তিত্বই সে প্রচার করে। ব্যক্তিত্বের নামে রুচির মাধ্যমে সাহিত্য করে লোকে।

ব্যক্তিত্ব ও রুচি যত কমবে সাহিত্যে ব্যাচেলরপনা তত কমবে।

ভাবি, সাহিত্যে কে কথা বলতেছে?

হাঃ হাঃ, আপা, সাহিত্যে একজন ব্যাচেলর পুরুষ মানুষ কথা বলতেছে!

৪/৯/২০২০

Leave a Reply