কনশাস-ইউনিভার্সিটি-মিডলক্লাস

কনশাস-ইউনিভার্সিটি-মিডলক্লাস একটা ডেভেলাপমেন্ট-প্রোন ক্ষমতাবান গোষ্ঠী বটে। এঁরা সদর্থকভাবেই সচেতন; তবে তা কেবল শিক্ষিত-মধ্যবিত্তের সংকটের ব্যাপারে। এঁরা নিজেদের সংকটরে টিভি চ্যানেল ও খবরের কাগজের মধ্য দিয়া জাতির সংকট আকারে দেখাইতে মরীয়া।

এদের চেয়ারম্যান মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান–এদের অস্ত্র যৌথবিবৃতি ও মানববন্ধন।

এঁদের কিছু হইলে ভিনদেশগুলাও গরম হইয়া ওঠে। এঁদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে সর্বদাই ভিনদেশী অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল হস্তক্ষেপের আকাঙ্ক্ষা জ্বলজ্বল করে। এঁরা যোগাযোগ সুবিধা দিয়া তদবির পন্থায় দেশে বিদ্যমান আইনের সুবিধা ও ফাঁকগুলা আদায়ের চেষ্টা করে। ফলে শ্লথগতি আইনি কাঠামো আরো শ্লথগতি প্রাপ্ত হয়; যোগাযোগ সুবিধা বঞ্চিত ছোটলোকরা আইনের সুবিধা থিকা আরো বঞ্চিত হইতে থাকে।

রাষ্ট্রে এই বর্গের ডাইরেক্ট মালিকানা ও বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজন থাকায় একই পাবলিক প্রবলেমরে শ্রেণীগত ভাবে আলাদা কইরা দেখতে বাধ্য করে এঁরা। মূলত এঁরা আইনের শাসনের পরিপন্থী ব্যবস্থা ডেভেলাপ করতে থাকে। এই বর্গের অক্রিয় সমর্থনে রাষ্ট্র বিধিবহির্ভূত হত্যা ও অন্যান্য বেআইনি কার্যক্রম চালাইয়া যাইতে পারে।

তবে এঁদের বেশির ভাগই বিদেশ চইলা যায় বইলা দেশের উপরে চাপ সহনীয় মাত্রার বেশি বাড়তে পারে না।

১৫ জুন ২০১১

 

Leave a Reply