শামসুর রাহমান ও আল মাহমুদ

ছবিতে আলাদা শামসুর রাহমান ও আল মাহমুদ; এ ছবির আল মাহমুদ অংশটি সিউতি সবুরের তোলা (২০০৭); শামসুর রাহমান অংশ রাহমানের পারিবারিক সূত্রে লব্ধ।
ছবিতে আলাদা শামসুর রাহমান ও আল মাহমুদ; এ ছবির আল মাহমুদ অংশটি সিউতি সবুরের তোলা (২০০৭); শামসুর রাহমান অংশ রাহমানের পারিবারিক সূত্রে লব্ধ।

শামসুর রাহমানের বড় গুণ উনি তার সময়ের চেয়ে, তার সময়ের আর দশটা সাধারণ মানুষের চেয়ে আগাইয়া যান নাই বা যাইতে চান নাই। ওনার অস্তিত্ব লোভ লালসা ছোটত্ব বড়ত্ব সবই উনি কবিতায় ব্যক্ত করতেন। ওনাদের অগ্রজ কবি আবুল হোসেন একবার ইন্টারভিউতে বলছিলেন শামসুর রাহমান কবিতায় রোজনামচা লেখেন। কবিতায় রোজনামচা লেখা তো খারাপ কিছু না। একেক জন একেক ভাবে লেখে। তবে কবিরা কবিদের কাছে আরো বড় কিছু আশা করে। সেটা আল মাহমুদে যতটা আছে শামসুর রাহমানে তা নাই।

আল মাহমুদকে যোগ্য সম্মান না দেওয়াটা শামসুর রাহমান ও তার সময়ের কবিদের বড় প্রতারণা। আল মাহমুদ ধর্মভিত্তিক রাজনীতির লাইন ধরার আগেই তাঁরা তা করছেন। জামাতের লগে লাইনবাজির পরে আলকে ফালাইয়া দেওয়াটা নিশ্চয়ই সুখকর হইছিল বাংলার প্রগতিশীল কবিদের জন্য। ভাগ্য ভালো যে আল মাহমুদ মানুষের দিকে না তাকাইয়া আল্লার দিকে তাকায়ছিলেন। নাইলে আপামরদের উদ্দেশ্যে রচিত পামর কবিতায় বাংলা গুলজার হইত।

আল মাহমুদের রাজনীতির বিচার ভিন্ন প্রসঙ্গ। তবে কখনো কখনো তা কবিতার লগে প্রাসঙ্গিক নিশ্চয়ই।

৬/৮/২০০৭

Flag Counter

Leave a Reply