সহজ

কঠিনেরে ভালোবাসিলাম
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ১৯৪১

১.
“ছবি আঁকি না” একটা গুণের নাম। তেমনই একটা গুণ “ছবি বুঝি না”। এই গুণ যার থাকবে তার জন্য ছবি না-বোঝাটাই দস্তুর।

আমারও অল্প অল্প আছে এই গুণ। অনেক ছবিই বুঝি না। তখন বুঝতে পারি যে আমার জন্য না ওই জিনিস। যখন বুঝি ছবিটা ফালতু হইছে বা ভালো লাগতেছে তখন বুঝি যে ছবিটা বুঝছি।

না বোঝা ছবির জন্য নানান জিনিস অধ্যয়ন করতে হয়।

আমার এত সময় নাই, তাই যেইগুলা বুঝি হেইগুলা নিয়াই আছি।

২.
ধরেন কৃষক শ্রমিক বুঝবে বইলা কি আমরা বুদ্ধিজীবীরা সহজ কইরা কিছু লিখমু?

কৃষকের কাজ চাষবাস। শ্রমিকের কাজ বড়লোকরে হেল্প করা। “ছবি বুঝি না”-দের কাজ ছবি আরো না-বোঝা। আরো না-বুঝতে চেষ্টা করা।

এখন কৃষক-শ্রমিক যখন বুদ্ধিমান হইয়া যায় তখন?

তখন হেরা কম্যুনিস্ট পার্টিতে জয়েন করে। বুদ্ধিজীবী হইয়া যায়। তখন হেগোরে কওন যায় ছদ্মবেশী কৃষক-শ্রমিক। গড় কৃষক-শ্রমিকরা হেগোরে তহন ডরায়।

কৃষক দাবি করতেই পারে যে দেশের মানুষের ভাত জোগায় তারা সুতরাং তাদের বোঝার উপযোগী কইরা সব লিখতে হবে।

সাম্যবাদী লেখকরা তা চেষ্টাও করছেন অতীতে। ভেরেণ্ডা ভাজি হইছে তাতে।

লেখা বা ছবি আঁকারে জগতের আহামরি না-মানলেই এমন করতে হয় না। আমি কি বুঝি নাকি কেমনে নিড়ানি দিতে হয়। কেমনে মরিচ বাটতে হয়।

৩.
আর্টে গড় বইলা কিছু নাই। আর্টরে গড় করতে হয়। কম বোঝাদের জন্য আছে খাদ্য। ভাত, আলু, তারপরে পালং শাক। অল্প আঁচে সিদ্ধ কইরা নিলে ভালো। পাকস্থলি কারো প্রিহিস্টোরিক থাইকা গিয়া থাকলে স্রেফ চাবাইতে পারলেই হবে। তবে আমেরিকান-ইউরোপিয়ানরা নাকি ভাত মাখাইতেই শিখে নাই এখনো আঙুল দিয়া।

কত রকম সহজই না আছে ভূ-মণ্ডলে। না?

৭/১/২০০৯

 

Leave a Reply