ঔপন্যাসিকের কাজ চরিত্র নিয়া। তাই একই চরিত্ররে নানা নামে উপন্যাসের পরে উপন্যাসে দেখা যাইতে থাকা কোনো জাতির জন্যে হতাশার ব্যাপার।
বিশেষত সেই ঔপন্যাসিকের উপরে যদি জাতি ও জাতির ছেলেমেয়ে নাতি-নাতনিরা তব্দা খাইয়া থাকে।
অবিকল একই চরিত্রের ধামা ধরাইতে থাকলে তা ছোট কাজ। ছোট ঔপন্যাসিকরা এই কাম করলে মাফ আছে, বড় ঔপন্যাসিকদের সেই সুযোগ নাই।
ঔপন্যাসিক যদি সমাজে তাকানোর সুযোগ না পান উনি টেলিভিশন দেইকখা আর কত ক্যারেক্টার সৃষ্টি করবেন?
আরো পড়ুন: NAI
বড়ভাই হুমায়ূন আহমেদের চারপাশে অগুনতি তার বানানো ক্যারেক্টাররা ঘুরাঘুরি করতো। কেউ প্রকাশক, কেউ নাটকের হিরো, কেউ সপ্তদশ বা অষ্টাদশ হিমু। তো উনি এদের দেইকখা আর কী লিখবেন?
তাই যা লেখার তাই তিনি লিখতেছিলেন শেষের দিকে। শেষের দিকেও না, নাটকে হাত দেওনের পরেই ওনার বর্ণনা একান্তই ক্যামেরার বিষয় হইয়া গেছিল।
ভেরি স্যাড।