১. চিঠি পেলাম
১৯শে ডিসেম্বর ৩য় বাংলা ব্লগ দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণঅনুষ্ঠানস্থল: পাবলিক লাইব্রেরী, সম্মেলন কক্ষ, নীচ তলা
সময়: বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।উদযাপনে শামিল ১৩টি কমিউনিটি প্ল্যাটফর্ম:
১. উন্মোচন
২. একুশে ব্লগ
৩. প্রজন্ম ফোরাম
৪. কম্পজগত ব্লগ
৫. মুক্ত ব্লগ
৬. প্রথমআলো ব্লগ
৭. বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম ব্লগ
৮. প্রিয় ব্লগ
৯. টেকটিউনস ব্লগ
১০. দৃষ্টিপাত
১১. বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ব্লগ, (under construction)
১২. ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র
১৩. সামহোয়্যারইন…ব্লগ“আমরা আশা করছি এই অনুষ্ঠান হয়ে উঠবে ব্লগার ও নীতি নির্ধারক পর্যায়ের ব্যক্তিদের একটি মিলন মেলা। যেখানে থাকবে অনলাইনে যুদ্ধাপরাধের পক্ষের তৎপরতা নিষিদ্ধসহ সকল বাক স্বাধীনতা ও গণজাগরণের নিশ্চয়তার কথা।”
এইটা একটা চিঠির অংশ। “১৯শে ডিসেম্বর ৩য় বাংলা ব্লগ দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ” হিসাবে এই চিঠি পাইলাম।
বাকস্বাধীনতার ধ্বজার একটি অংশে দেখা যাইতেছে অনলাইনে যুদ্ধাপরাধের পক্ষের তৎপরতা নিষিদ্ধ করতে চান এই আমন্ত্রণদাতারা!
২. ফুসলানি নিন্দা
যে তৎপরতায় অপরাধ সংঘটিত হয় (যথা যুদ্ধাপরাধের পক্ষের তৎপরতা) সেই তৎপরতা অনলাইনে নিষিদ্ধ করতে চাওয়ার মধ্যে অফলাইনে নিষিদ্ধ না করতে পারা বা না চাওয়ার ছোঁয়া আছে। কথা হইতেছে কেন অনলাইনে সক্রিয় একটি গোষ্ঠি কেবলই অনলাইনে বাকস্বাধীনতার নিয়ন্ত্রণ চায়। তারা কি মনে করে যুদ্ধাপরাধের পক্ষের সকল তৎপরতা (কেবল অনলাইন তৎপরতা নয়) নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে আইন বা রাষ্ট্রের বা “নীতি নির্ধারক পর্যায়ের ব্যক্তিদের” [এবারের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ১. অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ২. ডঃ আনিসুজ্জামান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ৩. জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম খান, প্রধান মন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ এবং জাতীয় প্রকল্প পরিচালক, এটুআই প্রোগ্রাম ৪. অধ্যাপক গোলাম রহমান, সামাজিক গণযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ৫. জনাব আনীর চৌধুরী, পলিসি উপদেষ্টা, এক্সেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ৬. জনাব আসিফ সালেহ, পরিচালক কমিউনিকেশন এবং প্রধান, সামাজিক উদ্ভাবন কেন্দ্র ৭. জনাব জাকারিয়া স্বপন, প্রতিষ্ঠাতা ও সি.ই.ও., প্রিয়.কম] কোনো প্রবলেম আছে? হোয়াই নট যুদ্ধাপরাধের পক্ষের সকল তৎপরতা নিষিদ্ধ করতে চাওয়া?
রাষ্ট্রে বিদ্যমান আইনের বাইরে একটি আপাত ওপেন প্লাটফর্মরে নিয়ন্ত্রণযুক্ত করতে কাছা খুইলা দেওয়া এই চিন্তা বিপজ্জনক। এদের মাধ্যমে ব্লগের ছদ্মবেশে সরকারের রাশ সক্রিয় হইতেছে। এই নিয়ন্ত্রণ অনলাইনে যুদ্ধাপরাধের পক্ষের তৎপরতা বন্ধ করার মাধ্যমেই থাইমা যাবে ভাবার কারণ নাই। অধিকন্তু, যা কিছু রাষ্ট্রে নিষিদ্ধ নয় তা কেন অনলাইনে নিষিদ্ধ হবে?
মিলনমেলার মাধ্যমে ‘নীতি নির্ধারক পর্যায়ের ব্যক্তিদের’ [ও তাদের উপদেষ্টাদের?] ফুসলানি দেওয়ার ধান্দার নিন্দা জানাই। অনলাইনে বা অফলাইনে যা কিছু অপরাধ গণ্য তার শাস্তি যা হবার তা হবে। তা বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার আবেদন অনলাইনরে পবিত্র গণনার ইঙ্গিত। এই ধরনের ধর্মীয় সঙ্গীত শুইনা বাকশালে যোগ দেওয়া সেই আমলের লেখক নামধেয় কলঙ্কগুলার কথা মনে পইড়া গেল!
১৯/১২/২০১১
1 Comment
Add Yours →