আজফার ভাই বিডিনিউজের অপিনিয়ন পাতায় বাজে একটা লেখা লিখছেন। তিনি তার লেখায় এও লিখছেন:
“ফিকশানের ক্ষেত্রে প্রায় একই কথা খাটে। বাংলাদেশের শক্তিশালী কথা-সাহিত্যিকদের—ঔপন্যাসিক ও ছোট গল্পকারদের (আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বা তাঁর মতো ব্যতিক্রমের কথা না হয় বাদই দিলাম)—পাশাপাশি দাঁড়াবার মতো কোনো শক্তিশালী দেশি-ইংরেজ কথাসাহিত্যিক তেমন একটা এসেছে কি? তাহমিমা আনাম? (আর মনিকা আলী তো দেশে থাকেন না)।
এদের কাজের চেয়েও যে শক্তিশালী কাজ বাংলা সাহিত্যে হাজির আছে, তা বোধ করি দীর্ঘ বিশ্লেষণের ভেতর দিয়ে বোঝাবার দরকার নাই।”
হে ফেস্টিভ্যাল কি এই বোঝাইতে চাইছে নাকি যে ইংরাজি সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের চাইতে ভালো? এইটা ভাল-মন্দের ব্যাপার না। হে ফেস্টিভ্যাল নিয়া বিবিধ সমালোচনা দেখতেছি। তার বেশির ভাগই মর্যাল গ্রাউন্ডে। যে কেন বাংলার ছেলেমেয়েরা ইংরাজিতে লেখে!
লেখে তো কী হইছে? কারো ইচ্ছা হইলে চাইনিজে লিখবে, আরবিতে লিখবে, হিন্দিতে লিখবে, উর্দুতে লিখবে। বাংলার বাপেদের তাতে কী!
২.
হে ফেস্টিভ্যাল নিয়া আমার কোনো বিরোধিতা নাই। কর্পোরেট না ফপোর্রেট তাতে থোড়াই কিছু আইল গেল! সব কোক খাওয়া বুদ্ধিজীবীরা সাহিত্যের বর্গা নিছে।
আমি মনে করি, নিয়মিত হে এবং হে ধরনের যত ফেস্টিভ্যিাল এই দেশে হয় তত ভাল। আমার আপত্তি ছিল জাতীয় প্রতিষ্ঠানের খেপ মারা নিয়া। তবে বাংলা একাডেমি তো আর সেই রকম প্রতিষ্ঠান নাইও আর। ফালতু লোকদের পুরস্কার দিয়া, সরকারের দালালি কইরা এইটা আগেই নিজেরে খাইয়া ফেলছে। হে তারে আর কট্টুক নিবে!
আজফার ভাই এই রকম একটা লেখা কেন লিখলেন তাই ভাবি। তার কি মন্দসঙ্গ হইতেছে নাকি এই রকমই লিখতেন তিনি!
৩.
বাজে লেখা তাই লেখার লিংক সরবরাহ করলাম না।
১৯/১১/২০১৩