ওগো দুই পয়সার বুদ্ধিজীবী, তোমারও যা দান!

১.
এই যে আমরা সরকারপন্থী, সরকার বিরোধী ও উন্নাসিক বুদ্ধিজীবীরা পরামর্শ দেই রাষ্ট্র ও সরকাররে—ফেসবুকে বা টকশোতে—এর কি কোনো রেজাল্ট আছে?

সাধারণ মানুষ বইলা যেই এলিট শ্রেণীটা আছে তাদের লগে আলাপ কইরা দেখছি হেরা ভাবে এর কোনো ফজিলত নাই। হুদাই লাফাই আমরা। সরকারের বা রাষ্ট্রের বা দেশের মানুষের কোনো লাভ বা চেন্জ তাতে ঘটে না।

বাট আই থিংক, এই ছোট ছোট আপত্তিগুলা কাজের। কারণ এইগুলা সম্মিলিত ভাবে একটা কালচার তৈরি করে, একটা উচ্চম্মন্য পরিবেশ তৈরি করে যাতে অ্যাকসেস চায় তথাকথিত বিদ্যাদিগগজ সাধারণ মানুষ তো বটেই আমলা, বড়লোক ও ক্ষমতাধরেরাও।

বেশির ভাগই অ্যাকসেসটা চায় ইগনোর করার মাধ্যমে। “তুই যা জানছ আমি তার চাইতে বেশি জানি ছোটলোকের বাচ্চা!”—হইল পদ্ধতিটা।

বেশি জানায় সমাজে হয়তো টোটাল বেশি জানাটা বাড়ে কিন্তু কাজ হয় তুলনায় ‘কম’ বলাবলিগুলি দিয়াই। যত অপ্রাসঙ্গিক বা অযৌক্তিকই বা কুতর্কই হউক সেই বলা।

সমাজে বিরাজিত অটল চিন্তারাশির মইধ্যে টুটা ফাটা কাঁটা ঢুকায় দিলে সেই ‘খারাপ’ বা ‘বাজে’ চিন্তার প্রতি যে রেজিসটেন্স বা বিরোধ তৈরি হয় সেই বিরোধিতা এক সময়ে সমাজে হজম বা আত্তীকৃত হওয়ার মধ্য দিয়া নতুন চিন্তার অ্যাকশন শুরু হয় জনসমাজে। পুরানা জ্ঞানের সিলিন্ডাররা ডিসচার্জড হইতে থাকে।

২.
হে দুই পয়সার বুদ্ধিজীবী, সরকার বা এলিটদের আপনার কথা শুনতেই হবে এমন না। আপনি যে বলেন তা তারা জানলেই হবে।

তাতে ক্ষতিকর শ্রেণীর চালচলনে বদল ঘটবে, তাদের দ্বারা কৃত অপরাধের বহিরাঙ্গিক পরিবর্তন ঘটবে, কাজে কাজেই সরকার বা রাষ্ট্রের অপরাধগুলিও ধীরে কমতে থাকবে। অর্থনৈতিক ভাবে উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কোনো বিকল্প নাই।

এভাবে অল্প দীর্ঘ সময়েই আপনার পরামর্শ ফললাভ করবে। বাইরে তার প্রয়োগ হয়তো আপনি দেখতে পাবেন না। কারণ ততদিনে নতুন সংকট ও সমাধান নিয়া আপনি কথা কইতে শুরু কইরা দিছেন। কী বইলা আসছিলেন তার কী ফল ফলতে আছে তা চোদার টাইম আপনার আর নাই।

জাইনেন, বিরোধী চিন্তারে শয়তানগুলি কেবল ইগনোর কইরা যাইতে পারবে না। যে কোনো বিরোধী চিন্তারে সাইজ করতে না পারা মানে নিজেদের চিন্তা কলুষিত হইতে শুরু করা। জাস্ট খালি ইবলিশগুলার কানে কানে জানায়া দিতে হবে, জগত চেন্জময়। আপনাদের ব্যাপারে শয়তানদের সচেতন উদাসীনতাই অগোর অভ্যন্তর বদলাইয়া বদলাইয়া দেয়।

১১/১১/২০১৫

1 Comment

Add Yours →

Leave a Reply