খাড়া হওয়া বিষয়ে নোট

জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময়ে এবং জাতীয় পতাকা ওড়ার সময়ে দাঁড়ানোটা পৌত্তলিকতা তো বটেই। আগে রাজাদের (জাতীয় রাজা) দেখলে দাঁড়ানোর বিধান ছিল। পতাকা দেইখা খাড়াইলে সেইটা যদি আমাদের বাপ আমেরিকার লোকরা খাড়ায় কি সৌদি আরবের লোকরাও খাড়ায় তা পৌত্তলিকতাই হয়। আমি চাইলে পৌত্তলিক হব, চাই না তো হব না।

কিন্তু এইটা যে পৌত্তলিকতা তা অস্বীকারের মধ্যে চউখ বুইনজা থাকার ঘটনা আছে। হিন্দুরা জানে তারা পৌত্তলিক। এবং দেব-দেবীর পূজা করে। দুই নম্বরী নাই। মুসলমান হিসাবে যারা নিজেদের জানেন তারা শুনছি কোনো পূজা-অর্চনায় বিশ্বাস করেন না। কিন্তু আধুনিক সমাজের পূজাগুলা ঠিকই তারা করেন। তারা নিরাকারে বিশ্বাস আর আকারে প্রণতি কীভাবে মিলান?

এগুলা নিয়া বিদ্যাজগতের বাইরে কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু আমরা যারা রাষ্ট্রে ঈমান আনি নাই, সীমানায় আত্মনিবেদন করি নাই তারা কেন জাতীয় সঙ্গীতে কী জাতীয় পতাকায় খাড়া হইয়া থাকব! আমরা তো রাজা-রাজরায়ও খাড়াই না। আল্লারেই মানি না তো পতাকা আর সঙ্গীত! এগুলা রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বিদ্যালয়ের গইড়া দেওয়া কুসংস্কার। যত ঝাইড়া ফেলানো যায় ততই মঙ্গল।

১০.২.২০০৯

Flag Counter

Leave a Reply