‘কুত্তার বাচ্চা’, ‘শুয়োরের বাচ্চা’ ‘ছাগল’ এইসব গালি অনেকে দিতে চান না কেননা এতে কইরা নাকি কুকুর ও শূকর ও ছাগলরে গালি দেওয়া হয়।
একদমই না। গালি মানুষরে, তাও আবার নির্দিষ্ট কাউরে বা গোষ্ঠীরে দেওয়া হইতেছে। কোনো গালিই কুকুরের বা শূকরের বা ছাগলের গায়ে লাগতেছে না।
যার নাম (কুকুর, শূকর, ছাগল) কলঙ্কিত কইরা গালি দেওয়া হইল তার কীবা অপরাধ এমন মেঠো যুক্তির অবতারণাও দেখা যায়।
কথা হইল, লজিক পোক্ত কইরা গালি দিতে হবে কেন? গালি একটা দিলেই হয়। গালিতে কুকুর বা শূকর বা ছাগল সমাজের ক্ষতিবৃদ্ধ ঘটে না।
যাকে গালি দেওয়া হইল তার গাত্রদাহ হইল কিনা সেইটাই দেখার বিষয়। যে কারণে গালিদাতা অনিচ্ছুক গালিগ্রহীতার মারে চুদতে চায়, বোনরে চুদতে চায়। যাতে যারে গালি দেওয়া হইতেছে তার অপমান তীব্র হয় সে কারণেই নারীজাতির নামে এই রকম কুৎসিত গালাগালির রেওয়াজ।
নারী অধিকার রক্ষার জন্যে যারা আন্দোলন করতেছেন তাদের বেশির ভাগই এই ধরনের গালি বন্ধ করতে ইচ্ছুক। এই ইচ্ছার গভীরে আলাদা ভাবে নারী সমাজের কাউরেই গালি না দেওয়া হউক তেমন একটা পুরুষতান্ত্রিক আবদার লক্ষ্যণীয়।
গালি যদি কেউ কাউরে না দেয় তবে আলাদা কইরা কুকুর, শূকর, ছাগল, বাপ, ভাই, মা, বোন কারো নামেই গালি দিতে হবে না।
কিন্তু গালি দেওয়ার মতো প্রায় মৌলিক বৈশিষ্ট্য মানুষ হারায় ফেলাউক তা আমি চাই না। গালি যে দেয় এবং যারে দেয়া হয় তা সাধারণত ওই দুইজনের ব্যাপার। যাদের নাম ব্যবহার কইরা গালি দেওয়া হয় সেই উচ্চারিত পশু, মানুষ বা আত্মীয়-স্বজনের গালির ব্যাপারে কোনো দায় নাই, উদ্বেগেরও কারণ নাই।
তবে, গালাগালির ব্যাপারে মামলার নানা ইতিহাস আছে।
২৪/৪/২০১৫