“বঙ্গবিদ্যা সম্মেলনে অংশ নিতে তিনি ঢাকায় আসেন। ১৯ ডিসেম্বর ২০১১। সম্মেলনের ফাঁকে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিক্ষক কেন্দ্রের ক্যাফেটেরিয়ায়। সেখানে তাঁর ব্যাগটা রেখে তিনি খাবার আনতে যান। এসে দেখেন ব্যাগ নেই। নেই নেই তো নেই।
ব্যাগে ছিল দুই হাজার ডলার, এক লক্ষ ইয়েন, পঞ্চাশ হাজার টাকা, ডিজিটাল ক্যামেরা, মডেম, ল্যাপটপ, মূল্যবান কাগজপত্র আর পাসপোর্ট।…এ ধরনের খবর পড়লে আমাদের মাথা হেঁট হয়ে আসে। আমরা, পুরো জাতিই, লজ্জায় অধোবদন হয়ে পড়ি। জাপান এমন একটা দেশ, যেখানে রাস্তায় কিছু ফেলে রাখলেও কেউ নেয় না। আর এখানে এসে, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ছাত্রশিক্ষক কেন্দ্রে তাঁর ব্যাগটা খোয়া গেল?”
– প্রিয় ডিজিটাল চোর… / আনিসুল হক
“বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে অধ্যাপকের মালামাল চুরি যাওয়া যদি “জাতীয় লজ্জার” বিষয় হয়, তবে সারাজীবনের গবেষণা-উপাত্ত একখান ল্যাপটপে আটকে রাখাও জাপানের মত দেশের অধ্যাপকের জন্য এরচে বেশি লজ্জার।”
– ঢাবি-তে মালামাল চুরি যাওয়া জাপানি অধ্যাপকের উপহাসমূলক অরিয়েন্টালিস্ট বয়ান! / সুমন রহমান
জাপানি প্রফেসর তার সব মাল ফিরত না চাইলে কী প্রবলেম? বাংলার চোরদের নিয়া বাংলার পুলিশ বইসা থাকলে কী যায় আসে? চোরদের ধরতে হবে, তাদের শাস্তি দিতে হবে, এবং বাংলার চোরদের যথাযথ শাস্তি কেন জাপানি প্রফেসর চাইল না এই আবদার আইন বিষয়ে নৈতিক একটা অবস্থান। এর সঙ্গে আনিসুল হকের জাতীয় লজ্জার নৈতিক অবস্থানের মিল আছে। দুই পক্ষই চোরের শাস্তির ব্যাপারে একাট্টা। জাপানি প্রফেসর বাংলার পুলিশের হেল্প না লইয়া চোরের লগে সন্ধি করতে চাইলে তাতে যে উপহাস ঘটে এই আবিষ্কার মার্ভেলাস।
চোরের শাস্তির ব্যাপারে যে কোনো প্রফেসর রাজি না হইলে তারে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উপহাস না বলার জন্য পরামর্শ রইল–সুমনের প্রতি না, তার লাইকার এবং কমেন্টিয়ারদের প্রতি। সুমন চোরের শাস্তি ও পুলিশের পুরস্কার নিয়া থাকুক। চোরের শাস্তি চায় কি চায় না সেইটা যে যে গিরস্তের নিজের নিজের ব্যাপার। একজন জাপানি প্রফেসরকেও বাংলার উন্নয়ন, পুলিশি ব্যবস্থা ইত্যাদিতে আস্থা, বিশ্বাস ও অনুশীলন চালাইতে হবে, কী সাংঘাতিক! মানস চৌধুরীর কাছে এই দাবি জানাইলেও নাইলে বুঝতাম যে বাংলার হিন্দু সংখ্যালঘিষ্টের কাছে জোর কইরা দেশপ্রেম হাতানো হইতেছে।
২৮/১২/২০১১
1 Comment
Add Yours →