পত্রিকাগুলা কি তরুণীদের আত্মহত্যায় বাধ্য করতেছে

পত্রিকাগুলা ইভ টিজিংয়ের শিকার মেয়েদের আত্মহত্যারে পরিবারের সম্মান রক্ষা আর বখাটে প্রতিরোধের ওয়ে হিসাবে দেখাইতেছে না তো?

যদি তাই হয় তবে যে মেয়ে ইভ টিজিংয়ের শিকার হওয়ার পরেও আত্মহত্যা না কইরা বাঁইচা থাকতে থাকতেছে তার জন্যে কি পত্রিকার তরফে কিছু পারিবারিক বা সামাজিক গঞ্জনা জুটতেছে না? যে, কেন তুমি সম্মান রক্ষা করতেছো না—যে, কেন তুমি এখনো প্রতিরোধ করতেছো না!

এক বাবা তার মেয়ের অসম্মানের কারণে আত্মহত্যা করলেন কিছুদিন আগে। বাবা কি মেয়ের প্রক্সি আত্মহত্যা করলেন, পত্রিকাগুলার তথা সমাজ-বিবেকরে একটা প্রতিরোধ উপহার দেওয়ার জন্য? পাকিস্তানে পারিবারিক সম্মানের জন্য হত্যা সামাজিকভাবে একটা গৌরবজনক ধারা। আমাদের দেশে সম্মান উদ্ধারে হত্যার প্রচলন তেমন নাই। আত্মহত্যা বুঝি সেই দায়িত্ব নিয়া নিল!

পত্রিকাগুলা যেভাবে আকছার “আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়” শব্দবন্ধ ব্যবহার করে তাতে প্রতিভাত হয় সম্মানহানির পরে আত্মহত্যা করাটাই উপযুক্ত কাজ। “আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়” যেই বার্তা বহন করে তা হইল, একই অবস্থায় অন্য তরুণীদেরও আত্মহত্যা করাটা বাধ্যতামূলক। পত্রিকাগুলা ২০০১ সালে সিমির আত্মহত্যার পর থিকা ধারাবাহিকভাবে আত্মসম্মানের একটা আত্মহত্যা পয়েন্ট প্রস্তুত কইরা যাইতেছে তরুণীদের জন্য। বাংলাদেশরে জাপান বানাইয়া ফেলাটা আপাতত ঠিক হবে না। শুনছি ওইখানে আত্মহত্যা বেশ সামাজিক সম্মান ঘটাইয়া থাকে।

৫/৫/১০

 

Leave a Reply