১.
“এদিকে শুভ’র [জালাল আলমগীর] মৃত্যুতে তার মা ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাতে গতকাল সন্ধ্যায় মহীউদ্দীন খান আলমগীরের বনানীর বাসায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। এছাড়াও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, ড. মশিউর রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মহীউদ্দীন খান আলমগীরের বাসভবনে যান সমবেদনা প্রকাশ করতে। এদিকে ড. জালাল আলমগীর শুভ’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। পৃথক শোক বাণীতে জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন, সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু শোক প্রকাশ করেছেন।”দেশের রাজনীতি নিয়ে বই লেখা হলো না জালাল আলমগীরের
(http://bit.ly/tHaLz3)
৫/১২/২০১১, মানবজমিন
স্টাফ রিপোর্টার২.
পাদটীকা: বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলোতে জালাল আলমগীরের মৃত্যুসংবাদ ছাপা হয়েছে পিতৃপরিচয়ের সূত্রে। তার এই পারিবারিক পরিচয়কে খাটো না করেই আমার মনে প্রশ্ন জেগেছে: পিতৃপরিচয়ের সূত্র না থাকলে আমরা কি জানতেই পারতাম না বাংলাদেশবিষয়ক এই নিবেদিতপ্রাণ মেধাবী গবেষকের অকালমৃত্যুর খবর?জালাল আলমগীর আমার বন্ধু
(http://bit.ly/vHCDhK)
৫/১২/২০১১, প্রথম আলো
আলী রীয়াজ (যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভারসিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক)
জালাল আলমগীরের থাইদেশে মৃত্যুতে যে বাংলাদেশে প্রায় রাষ্ট্রীয় ধরনে (নাম্বার ১-এ বর্ণিত) শোকপ্রকাশ ঘটল এইটা সম্ভব হইছে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের পরিচিতির জোরেই। আহমদ ছফা যখন মারা গেছিলেন তখন আওয়ামী লীগের বুদ্ধিজীবীকুল যাতে ছফারে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা না যায় তার জন্য বহু সোচ্চার হইছিলেন—শোক জানানো তো দূরকথা! শেখ হাসিনা, ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তোফায়েল আহমেদ, এইচটি ইমাম, মশিউর রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আবুল মাল আবদুল মুহিত, আবুল কালাম আজাদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত—এনারা কেউই কিন্তু কয়দিন আগে মারা যাওয়া কথাশিল্পী রশীদ করীমের মৃত্যুতে শোক দেখাইতে যান নাই। তার দরকারও ছিল না সেইটা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু যেখানে পিতৃপরিচয় সন্তানের পরিচয়রে তৈরি কইরা দেয় তারে দেইখাও না দেখার ভান করার কী আছে? জালাল আলমগীরের এর চেয়ে বড় কোনো পরিচয় ছিল না যে তিনি মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ছেলে ছিলেন। তার আত্মার শান্তি হউক!
তো বড়ভাই (ভাই ডাকলাম, গলা টিপবেন না যেন!) আলী রীয়াজ পারিবারিক পরিচয়রে খাটো করতে চান নাই, প্রথম আলো পত্রিকায়—কিন্তু তিনি এই পরিচয়রে বড়ই বা করবেন কীভাবে? পারিবারিক পরিচয় বিদ্যমান থাকে, তার খুঁটির জোর থাকে, তার ভিত্তিতেই সম্ভ্রান্ত পরিবারের লগে সম্ভ্রান্ত পরিবারের গলাগলি ও সুযোগসুবিধার বিনিময় চলে। এর ছেলে ওর এনজিওতে কাজকাম করে। এ প্রজেক্ট লইয়া আসে তো ওর মেয়েরে তাতে কান্ট্রি ম্যানেজার করে। এই তো? সুতরাং আলী রীয়াজের জালালের মৃত্যু সংবাদ বিষয়ে “আমরা কি জানতেই পারতাম না… অকালমৃত্যুর খবর” ধরনের উদ্বেগ কোনো উদ্বেগই না। আপনারা সব সময়ই তেমন লোকদের সঙ্গেই সম্পর্কিত বন্ধুত্বরত থাকবেন যাদের পিতৃ-মাতৃকুল আগে থেকেই পরিচিত ও প্রতিপত্তিশীল। আর সব বাদ দিলেও অন্তত যার আলী রীয়াজের বন্ধু-পরিচিতি আছে তিনি মৃত্যুর পরে পিতৃ-পরিচয় বাদ দিয়া আলী রীয়াজের বন্ধু-পরিচয়েই মারা যাইতে থাকবেন! নিদেন আলী রীয়াজের কারণেই সংবাদপত্রগুষ্ঠির বিনা খবরদারিতে মারা যাইতে পারবেন না।
সে আশায়ই তো তাকে ভাই ডাকলাম আজ ৫ ডিসেম্বর ২০১১।
1 Comment
Add Yours →