মাহমুদুজ্জামান বাবুর গান প্রচারের সময় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গানের রচয়িতা হিসাবে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের নাম-এর উল্লেখ থাকে। কখনোই বাবুর নাম রচয়িতা হিসাবে যায় না।
প্রতুল মুখোপাধ্যায় তার রচিত ও গীত গানের অবৈধ প্রসার রোধ করতে চাইলে মামলা করতে পারেন। বাবু দোষী হইলে তাতে সাব্যস্ত হইবেন। আর বাবুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার আগে ভারতীয় বই ও সিডির আগ্রাসন ঠেকানো নিয়া মানববন্ধন করতে পারেন মানববন্ধনে আগ্রহী ভাই ও বোনেরা।
অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর দেশে এই রকম কপি বা পাইরেসি করাটা বিপ্লবের শামিল। আপনেরা না জিগাইয়া বইয়ের অনুবাদ করেন না? বা যেই এমএসওয়ার্ড বা উইনডোজ ব্যবহার কইরা লিখতেছেন ওইটাও মানববন্ধনের বাইরে আছে। ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস ওঠাইয়া দেওয়ার জন্য মানববন্ধন করতে শুনছি। কায়েম করার জন্য না।
ফৌজদারি বিষয়রে মানববন্ধন হিসাবে যারা গইড়া তুলতে চান তারা পাবলিক ইমেজ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করতেছেন। এরা সুযোগ সন্ধানী। নতুন বুদ্ধিজীবী বা বিবেক হওনের স্বপ্নে বিভোর। মাহমুদুজ্জামান বিবিসির সনদ পাওনের পরে ঈর্ষায় জ্বলতেছেন এরা। হাতে হাত ধইরা থাকলে হয়ত ঈর্ষা সমবণ্টনের মাধ্যমে কইমা আসবে। এতদিন আপনেরা কোথায় ছিলেন?
আমাদের শিল্পীরা যেইদিন ভারতীয় সব গীতিকারদের গান তাদের শিল্পীদের চেয়ে ভালো কইরা গাইয়া ওনাগো একচেটিয়া ব্যবসা এই দেশে বন্ধ কইরা দিতে পারবেন আমি সেই দিনের আশায় আছি। আশা করি প্রতুল মুখোপাধ্যায় নিজেও এই আন্দোলনে শরিক হবেন। উনি বলতে পারবেন আর কার কার গান আমরা অনুমতি না নিয়াই গাইয়া ফেলতে পারি।
আমগো দেশে ওনাগো কালচারাল আগাছা বৃদ্ধি রোধ করার এইটাই সর্বোত্তম পন্থা।
আমার নিজের কাছে প্রতুল মুখোপাধ্যায় রচিত ও গীত বা মাহমুদুজ্জামান বাবু গীত এই গান ভালো লাগে না। ফালতু জাতীয়তাবাদী গান। বিবিসি-ও বোঝে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বন্ধ-মানবেরা কী দিয়া ভজে। জয় রাধে!
৩১/৫/২০০৬