“যখন একজন খ্রিস্টান মতাবলম্বীরে ইসলাম মতাবলম্বী ধর্মের পথে আনতে যায় তখন যা ঘটে একই কাণ্ড ঘটে বিজ্ঞান ধর্ম অনুসারী বান্দা যখন ভিন্ন ধর্মানুসারীরে বিজ্ঞান মানতে বাধ্য করে।”
– ব্রাত্য রাইসু
“বিজ্ঞান কাহাকেও মানিতে বাধ্য করা হয়না। বিজ্ঞান কাহারো উপরে চাপাইয়া দেওয়া হয়না।”
– পিনাকী ভট্টাচার্য
বিজ্ঞান ধর্মানুসারীরা তাদের যুক্তি উপস্থাপনের প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞান মানতে বাধ্য করেই তো।
বাধ্য কেবল তরবারির সামনেই করতে হবে কেন?
সোসাইটি ও সভ্যতা বিজ্ঞান নির্ভরতার যে বলয় এবং বিকল্পহীন জীবনব্যবস্থা হাজির রাখতেছে তা কি মানতে আমরা বাধ্য হইতেছি না?
আমাদের দৈনন্দিন কাজ, আমাদের সংঘের কাজ, সরকারের কাজ সবই বিজ্ঞান মানদণ্ডে চালিত হয়।
এরে আপনি মানানো বলবেন না কেন?
আজকে যেভাবে বিজ্ঞান-বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত সমাজ চালু আছে ২০০ বছর আগে তা ছিল না। এই যে সমাজ বিজ্ঞান-ধর্মে আস্থা আনলো এরে মানানোই বলতে হবে।
পেশিশক্তিই একমাত্র পদ্ধতি নয়। ভালোবাসার পন্থাও এক্সপ্লয়টেশনে বিনিয়োজিত হইতে পারে।
পুরানা ধর্ম শক্তি প্রয়োগ করছে, নতুন ধর্ম কৌশল।
যুক্তিরে আপনি হাতিয়ার, টুল বা অস্ত্র হিসাবে ধরতেছেন না তাই মাইনা নিতে বাধ্য করতেছে না মনে হইতে পারে আপনার। আপনি হয়তো ভাবছেন: যুক্তি এত সত্য এইটারে আবার মানতে হবে কেন? যুক্তি তো আছেই। অপশন তো আমি দিছিই। এইটা তো সত্যই। কিন্তু অপশন যে আপনি দিলেন তাও মানানোর যে ক্ষমতাচক্র তার অংশ।
এইটা বিজ্ঞানের কোমলতা কিন্তু আগ্রাসন বটেই। প্রমাণ যে মাননীয়—এইটা বিজ্ঞানের উপস্থাপন।
কিন্তু আপনি যখন অন্যের সামনে চয়েস হিসাবে উপস্থাপন করতেছেন আপনি তাকে তা মানতে বাধ্য করতেছেন।
১০/২/২০১৪