১.
আমি প্রেম নিবেদনের ভিডিওর পক্ষে।
যদিও প্রেম দুই জনের মধ্যেই নিবেদিত হওয়া-হওয়িটা বেটার।
ঘোষণা দিয়া প্রেম নিবেদন এক ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান। আমাদের দেশে এইটা নতুন।
এই ঘটনায় ১১ জনকে বহিঃষ্কার কইরা ৯ জনরে ফিরায় নিছে ঢাকা কমার্স কলেজ কর্তৃপক্ষ? বাকি দুই জনরে এখনো নেয় নাই।
হয়তো নিবে। ক্ষমা চাইলে। বা নিবে না।
শিক্ষাবোর্ডের পক্ষে কলেজগুলারে প্রেম নিবেদনের লীলাক্ষেত্র হইতে দেওয়া উচিৎ হবে না। কিন্তু যেই দেশে কোনো কিছুই নিজের নিয়মে চলে না সেই দেশে এও সেই ভাবে চলবে না।
সুতরাং আশা করা যাক, ওই দুই জনরেও—যারা প্রেম নিবেদন করছেন পরস্পররে (কলেজ কর্তৃপক্ষরে না)—ফিরাইয়া নিবে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তা খারাপ না। বা বলা ভালো—তা ভালো।
২.
তবে আমি এই ধরনের দেখাইন্না প্রেম নিবেদনের বিপক্ষে।
এই সামাজিক প্রেম নিবেদন, বা অন্যের প্রেমরে দর্শনীয় কইরা তোলার সামাজিক চর্চা আমাদের তরুণ সমাজে নতুন অধ্যায় নিয়া আসতে পারে। মে বি মার্কেটগুলা জনসমক্ষে প্রেম নিবেদনের উর্বর ক্ষেত্র হইয়া উঠতে যাইতেছে।
নতুন এক ধরনের সংস্কৃতি এইখানে গইড়া উঠতে যাইতেছে, যেইখানে এক দঙ্গল পোলামাইয়ার সামনে ছেলেটি ও মেয়েটি পরস্পরকে আলিঙ্গন করবে ও সবাই মিলা ঘুরামূলক নাচ ও খাওয়া-দাওয়া হবে। নট ব্যাড। পশ্চিমের শুভ প্রভাব।
তবে আমি এর বিপক্ষে কারণ এই ধরনের অনুষ্ঠানের আশু ফল হইল প্রেমগুলা চাইলেই হুটহাট ভাঙা যাবে না। সাক্ষী সাবুদ যেহেতু থাকতেছে।
তা কি ভালো? আমার কাছে ভালো না।
দাম্পত্যরে কেন প্রেম বলতে যাব আমি। প্রেম প্রাইভেট। বন্ধুত্ব বন্ধুত্ব।
৩.
কিন্তু কেন আমি ভিডিওর পক্ষে? কলেজ কর্তৃপক্ষ কি তার আইন অনুযায়ী চলবে না?
চললে চলবে। কিন্তু সবাইরে সব সময় আইন মানতে হবে না। যে কোনো কিছুর ভিতরে স্পেস তৈরি করতে থাকা মানুষ সব সময়ই থাকবে। আমি এই রকম মানুষদের পক্ষে। তারা যদি পশ্চিমের পশ্চাৎদেশ চুম্বনে ব্যস্ত থাকে তবু আমি তাদের পক্ষেই থাকব।
কলেজ কর্তৃপক্ষ কি ৯ জনরে ফিরাইয়া নিতে পারছে না? আসলে আইন -কানুনের কোনো অনড় অবস্থা নাই। দার্শনিক আলোচনায় এই ফাঁকগুলারে আসতে দেখি না।
১৬/৫/২০১৬