বিদ্যালয় হুজুর, আপনি কী বলেন?

“বরগুনা, নভেম্বর ১৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- যৌতুক চেয়ে বিয়ের আসরে তালাক পাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শওকত আলী খান হীরণ এবং তার ফুফুকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল কাদের তাদের দুজনকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৫ নভেম্বর থেকে এই বরখাস্তের আদেশ কার্যকর হবে।”
শিক্ষক হীরণ ও তার ফুফু বরখাস্ত / bdnews24.com

 

প্রতিষ্ঠান-এর তালাক দেওয়ার এই ক্ষমতা বড় চমৎকার।

ঠিক কী কারণে অভিযুক্ত হইলে বা সাজা পাইলে বা অপরাধ করলে প্রতিষ্ঠান বরখাস্ত করে? হীরণের ও তার ফুপুর বরখাস্তরে যদি প্রতিষ্ঠানের তরফে অপরাধের কারণে সাজা প্রদান ধরা হয় তাইলে প্রশ্ন আসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কি বিচার বিভাগের অংশ? বিচার প্রতিষ্ঠান কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানরে নির্দেশ দিছে বরখাস্ত করনের? সে ক্ষেত্রে বিচার শেষের আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই বিচারিক ক্ষমতার প্রয়োগরে বিচার বিভাগ কীভাবে নেয়? নাকি নেয় না? কেন নেয় না!

বলতে পারেন বিদ্যালয় বিধিমালায়ই এই রকম আছে যে অসামাজিক কার্য করলে বা অপরাধমূলক কিছু করলে বিদ্যালয় বরখাস্ত করতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের সে এখতিয়াররে প্রশ্ন করা দরকার। মানে আমি প্রশ্ন করলাম:
বিদ্যালয় হুজুর, আপনি কী বলেন?

১৮/১১/২০১১

free counters
Free counters

Leave a Reply