সাটুরডে পেহলা সেপ্টেম্বর ২০১২ বিপাশা হায়াত ৫০ হাজার + ৫০ হাজার মোট ১ লাখ (হাঃ হাঃ! যেন কত টাকারে!) টাকা তুইলা দিলেন দুই দুঃস্থ শিল্পীর হাতে। ‘প্রিয় প্রাঙ্গন’ এই টাকা দিছে, প্রিয় প্রাঙ্গনের হইয়া বিপাশা খয়রাত দুটি দিয়া আসছেন শিল্পীদের বাসায়। শিল্পীদের একজন, কাঙালিনী সুফিয়া এই টাকা পাইয়া কীভাবে কৃতজ্ঞতা জানাইবেন নাকি বুঝতে পারেন নাই, যিনি বুঝতে পারছেন সেই অভিনেতা আনোয়ার হোসেন নাকি অনেকটা নির্বাকই ছিলেন। চমৎকার! বিপাশা খয়রাত সম্প্রদানরে মহত্ত্ব ঠাওরাইছেন! তাঁর ভাষায়, “আমাদের অনুষ্ঠানের সঙ্গে যখন প্রিয়-প্রাঙ্গন যুক্ত হতে চাইল তখন আমি ভাবলাম একটা মহৎ কিছুর মধ্যদিয়েই তারা যুক্ত হোক।”
মহত্ত্বরে ভিক্ষাদানের সঙ্গে ঘুলাইয়া ফেলছেন বিপাশা হায়াত। যা হোক, এই টাকা দান হিসাবে নিতে বাধ্য কইরা ঠিক না, বলা যায় দানের সংবাদ রাষ্ট্র কইরা বিপাশা ও বিপাশার অতিথি অনুষ্ঠানটি দুই শিল্পীর ভবিষ্যৎ–তা থাক বা না থাক–ঝরঝরা কইরা দিলেন।
দেওনের মহত্ত্বই যদি মাথায় থাকত এই টাকা শিল্পীদের কাজের পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া যাইতো। তাতে খবরও করতে হইত না আর ভিক্ষা দেওয়ার মজাও থাকতো না। আর প্রিয় প্রাঙ্গনের নামটাও দুই শিল্পীর মর্যাদা নষ্ট করার মধ্য দিয়া চাউর করতে হইতো না।
যদি বিপাশা হায়াত বা শামীম শাহেদের আগ্রহ থাকতো এই শিল্পীদের সহায়তা করার–তা করা ভদ্রতার হইত সহায়তা চাওয়ার ভিত্তিতে করলে, নতুবা এই সম্প্রদান দান-এ পরিণত হয়। আগ বাড়ানো দান কারো ক্যারিয়ার নষ্ট কইরা দেওয়ার জন্যে বা কারো ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টাইনা দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট।
ধরি, আমি আনোয়ার হোসেনরে বোঝাইয়া টোঝাইয়া ওনার ৫০ হাজার ফেরত নিলাম। কাঙালিনীর নাম কাঙালিনী বিধায় তারটা নিলাম না। ফেরত নেওয়ার পরে তা বিপাশা হায়াতের বাড়ি গিয়া তারে দুঃস্থ মনে কইরা–এই রকম অন্য শিল্পীদের যিনি দুঃস্থ বানাইয়া তোলেন তারে দুঃস্থ বলা যায় না নাকি?–দিয়া আসলাম। তাতে যেই কাণ্ড হবে বাংলাভিশনের স্টাফরা ও বিপাশা হায়াত মিলা একই কাজ করছেন।
বাংলার বয়স্ক, অর্থনৈতিক ভাবে অসচ্ছল শিল্পীদের সাবধান করতে চাই, হে অসচ্ছল আর্টিস্ট ভাই ও বোনেরা, আপনাদের অপদস্থ করতে, দুস্থ বানাইতে শিগগিরই আসতেছে চ্যানেল বাংলাভিশন, আসতেছেন সুমহৎ বিজ্ঞাপনশিল্পী বিপাশা হায়াত। ওনারদেরকে বাড়িতে ঢুকতে দিবেন না যেন!
খবরের লিংক: পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক পেলেন আনোয়ার হোসেন ও সুফিয়া