“উই আর লুকিং ফর শত্রুজ”-এর জন্যে লুৎফুজ্জামান বাবরকে সদর্থে ভাষাবিপ্লবী অভিধা দেয়া যায়।
তিনি এ যাবৎ এই ‘শত্রুজ’-এর কারণে কেবল নিন্দাই পেয়ে এসেছেন। সত্যের খাতিরে কৃত বিপ্লবের জন্যে তাকে অভিনন্দন জানাই।
বাংলায় আমরা আকছার অন্য ভাষার শব্দ ব্যবহার করি। কিন্তু এক ভাষার উপসর্গ, প্রত্যয় ইত্যাদি ধাঁচের জিনিস অন্য ভাষায় অর্থময় ব্যবহার করতে পারাটা ভাষাবিপ্লবীর কাজ।
তদুপরি এই বিপ্লবী ছিলেন তৎকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। সরকারে থাকা অবস্থায় চুরি-চামারির বাইরে অন্য বিপ্লব করতে পারাটা কঠিন কর্ম। তিনি এই কাজ অবলীলায় করেছেন।
সম্ভবত সারা দেশকে হাওয়া ভবন ভাবতে পারার কারণেই তা করতে পেরেছিলেন। স্বৈরাচারী হইলেও সকলে তা করতে পারে না। আওয়ামী স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হইলে বাবর এই কাজ করতে পারতেন মনে হয় না। তখন ধামাধরা আওয়ামী বুদ্ধিজীবীরাই গিয়া শেখ হাসিনার কাছে নালিশ করতো, “আপা, আপনার প্রতিমন্ত্রী কিন্তু বাংলার সঙ্গে ইংরেজি মিশ্রিত করে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এখন আমরা কী করব? আপনি ওকে থামান। নাহলে শহীদ মিনারে মানববন্ধন করতে হবে আমাদের!”
বাবরের বাবরতার বিচার যারা করার করবেন। কিন্তু তিনি বাংলা ভাষায় যে অবদান রাখলেন তার জন্যে তাকে ট্রিবিউট জানাই। ও অল্পপ্রাণ বাংলাভাষীদের আহ্বান জানাই, বাবরের দেখানো পথে ভিন্ন ভাষার লগে মিলাইয়া বাংলা ব্যবহার করেন।
ভাষার বাংলা ইংরেজি প্রমিত আঞ্চলিকতা এগুলা কুসংস্কার ও দরকারি ক্যাটেগরিজ। ভাষা যিনি ব্যবহার করেন তারই।
২০১২/১১/৩০