১.
‘ভিন্নমত প্রকাশ’ বইলা কিছু হয় না! সকলে নিজের মতই প্রকাশ করে।
২.
অনেকে মনে করেন (হা হা ভিন্নমত করেন!), যে তারা তর্কের মধ্যে তো ভিন্নমতরে জায়গা দেন!
কিন্তু তর্কের মধ্যে অন্যের মত শোনাকে কেউ ভিন্নমত শোনা বলে না। ভিন্নমত শোনার কথাটা আসে তর্কের বাইরে থেকে।
তর্কে বিপরীত পক্ষের যে মত, বক্তব্য বা আপত্তি থাকে তাকে ‘ভিন্নমত’ বলার অর্থ নাই। তা যেহেতু খণ্ডন করতে হয় তাই তা ‘ভিন্নমত শোনা’ও নয়।
তাইলে ভিন্নমত শোননের ঘটনাটা কী? অন্যের মত খালি শুনলাম?
না। বরং অন্যের মতরে স্পেস দেওয়া। তার মতরে খণ্ডন না করা। তার মত বা বিশ্বাস ও আচরণ লইয়া তারে থাকতে দেওয়া।
৩.
মত হিসাবে সমাজে চালু অন্যের মত মাত্রই ভিন্নমত নয়। অন্যের মত যখন আপনারও মত তা ভিন্নমত কীভাবে হবে?
কাজেই সব ভিন্নমতেরই একটা অ্যাকশনেবল সম্ভাব্য ক্ষেত্র থাকে।
এইটা কাদের মধ্যে থাকে? যাদের ভিন্নমত আপনি শোনেন। যারা আপনার কাছে কোনো না কোনো ভাবে বান্ধা। অর্থাৎ আপনার চাইতে হায়ারার্কিক্যালি নিচুতে বিলং করে।
অফিসের ছোট অফিসারের সাধ্য কী সে তার সিনিয়রের ভিন্নমত শ্রবণ করবে? তার শুধু অর্ডার পালন। বড় অফিসারটি জুনিয়রের ভিন্নমত চাইলে শুনতে পারে।
বাংলাদেশে যেমন মুসলমানে হিন্দুর ভিন্নমত শোনে, হিন্দুর কী সাধ্য মুসলমানের ভিন্নমত শোনার আবদার করে!
ইন্ডিয়া, ইতালি বা ফ্রান্সদেশে যদি মুসলমানের আজান শুনতে আপনি রাজি তাইলে ভিন্নমত শুনলেন।
বাঘ যখন তার হা’য়ের মধ্যে বকের মুখ ঢুকাইতে দিল এইটারে আপনি রঙ্গ সহকারে ভিন্নমত শ্রবণ বলতে পারেন।
৪.
অর্থাৎ ভিন্নমত শোনা হইল ক্ষমতার প্রয়োগ না-করতে থাকা। একটু কিছু না দিয়াও কিছু দান করার অনুভূতি।
৮/১১/২০১৬