“কিন্তু রাজনীতির বাইরেও কিছু নীতিগত পরিমণ্ডল থাকে যেখানে আমরা ব্যক্তি হিশাবে নিজের নৈতিক শক্তি ও সাহস প্রদর্শন করি। এই ক্ষেত্রে আমি বিস্মিত হয়েছি যে মতিউর রহমান কাটুর্নিস্ট আরিফুর রহমানের দায়দায়িত্ব নিজের কাঁধে বহন করেন নি। সম্পাদক হিশাবে এই কার্টুনের সমস্ত দায়দায়িত্ব মতিউর রহমানের নিজেরই বহন করা উচিত ছিল। এখানে তাঁকে আমাকে অতিশয় ক্ষুদ্র মনে হয়েছে। কাটুর্নিস্টকে জেলে পাঠানোর চেয়ে তাঁরই উচিত ছিলো সকল দায়দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে বিদ্যমান আইনে বিচার চাওয়া।”
– ফরহাদ মজহার;
(ছবিটি দেখছিলাম, ‘লোককথা’, উপসম্পাদকীয়, নয়াদিগন্ত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৭)
এই জিনিস আরো অনেকের লেখায় দেখতে পাইছি ও সরাসরি মুখ থিকা শুনছি। ভারতবর্ষের আর্দ্র রস এইটা। সমাজ ঠাইসা ধইরা জাতকরে বীর বানাইয়া ফেলতে চায়। পোলার অসুখ হইছে…বাপরে কয় মরতে। ইসলাম যার যার শাস্তি তারে পাইতে কয়। বাপের জন্য পোলার শাস্তির বিধান নাই। বুদ্ধিজীবীদের পৌত্তলিক ভ্রম হয়।
মতি ভাইরে প্রশংসা করি উনি কার্টুনিস্টের ‘দোষ’ নিজের কানধে নেন নাই। অপত্য স্নেহের প্রাবল্যে দণ্ড ভাগ কইরা সাবালক লোকের ‘গরিমা’ খাটো করতে যান নাই। কেউ কেউ কয় মতি ভাই কেন ছাপার সময় এই জিনিস দেখতে পান নাই বা আগে কী করছেন! আগে যদি দেইখা থাইকাও সম্পাদক এইটা ছাপান তবু ‘অপরাধ’-এর শাস্তি ‘অপরাধ’কারীরই। সাংবাদিক-এর রিপোর্টের কারণে সম্পাদক শাস্তি পাবে এই রকম কোনো আইন থাকলে বরং তা বদলানোর জন্যই বুদ্ধিজীবীদের চেষ্টা করা উচিত। বুদ্ধিজীবীরা চেষ্টা করলে কী না হয়!
২৫/১০/২০০৭