মনে হয় সৈয়দ হকরে নিয়া আলাপ

যে লোকটি নিজেই নিজের নাম রেখেছিল ‘সব্যসাচী’, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ‘ধানকন্যা’ জাতীয় নাম দিতে চেষ্টা করে সফল হননি যিনি, কবিতা লিখার চাইতেও যিনি কেবল রাষ্ট্রদূত হতে চান, দেশে বিদেশে লাম্পট্য করবার জন্যে যিনি বিখ্যাত এবং ইতোমধ্যে প্রমানিত—সেই লোকের যাবতীয় প্রতিভা নিয়ে তাকে একাই থাকতে দেয়া উচিত বলে মনে করি| এই সব লোকদের দিয়ে শিল্পের কাগজের উদ্বোধন বা এদের ডেকে এনে কথা শুনতে চাওয়া তো এক ধরনের দেউলিয়াপনা! আমাদের সমাজে এখনো অনেক সৎ-সচ্ছ-প্রতিভাবান লোকজন আছেন যাদের উর্ধে তুলে ধরে নিজেদের কাজকে আমরা বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারি! এইসব পঁচা শামুকে নিজের পা কেটে কোনো লাভ আছে!? কখনো কখনো আমাদের তো বর্জন করাও শিখতে হবে!

মনজুরুল আজিম পলাশ 
(এফবি স্ট্যাটাস, সেপ্টেম্বর ২০১২)

 

ব্রাত্য রাইসু:
কাউকে তার যৌন বিশ্বাস ও চর্চার জন্যে এই ভাবে অপমান করার নিন্দা জানাই। ‘এই সব লোকদের’ ধরনের সম্বোধনেরও নিন্দা জানাচ্ছি। কীভাবে মানুষ কারুকে এইভাবে হেয় করতে চাইতে পারে!
(এফবি কমেন্ট, সেপ্টেম্বর ২০১২)

মনজুরুল আজিম পলাশ:
শুধু ‘যৌন বিশ্বাস ও চর্চার’ জন্যে কাউকে অপমান করা হয়নি! আর যার ‘যৌন বিশ্বাস ও চর্চার’ কথা বলছেন তিনিতো নিজে একে ‘বিশ্বাস’ ও ‘চর্চা’ মনে করেন না, বরং কেউ কিছু বললে মামলা করার ভয় দেখান! আর আপনার নিন্দার প্রতি আমার শ্রদ্ধা রইলো, আপনাকেও প্রকাশ্যে নিন্দা করা যাবে কখনো প্রয়োজনে!
(এফবি কমেন্ট, সেপ্টেম্বর ২০১২, ব্রাত্য রাইসুর প্রতি)

ব্রাত্য রাইসু:
মামলা একটি বৈধ প্রক্রিয়া। মামলা করতে চাইলে বৈধ পন্থায়ই তিনি যাইতে চাইছেন। তিনি আপনার চাইতে ভদ্রলোক দেখাই যাইতেছে। মেয়েদের লগে বিয়া না কইরাই চোদাচুদি করেন এই নিয়াই তো আপত্তি?

লাম্পট্যের ব্যাপারটা দ্বিপাক্ষিক। উনি যখনই না-বৈবাহিক ভাবে যেই মেয়ের বা ছেলের সঙ্গে যৌনকর্ম করবেন তখন তার সে লীলায় অংশগ্রহণকারিনী বা কারীরও তাতে লাম্পট্য হয়। এই লাম্পট্যের প্রায় বিশ্বজনীন আইনগত ও সাংস্কৃতিক বৈধতা আছে। কিছু দেশে বৈধতা নাই।

আপনি যেই রাষ্ট্রে বসবাস করতেছেন ওইখানে এইটা ডাইলভাত। পিক কইরা রুমে লইয়া যায় গা—না? তবে সংখ্যালঘু বহিরাগতরা মূলধারার সংস্কৃতিতে প্রায়শই খাপ খাওয়াইতে পারে তো না-ই উল্টা হইয়া থাকে! সে দিক থিকা বলা যায়, আপনার মধ্যে লম্পট বৃটেনবাসীর যৌনচর্চার বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ জমছে সেইটা বাইরাইতেছে আপন দেশের একজন খ্যাতনামা লেখকের গুষ্টি উদ্ধার কইরা। হাঃ হাঃ। আমি অনেক মেয়ের সঙ্গেই করছি। বেশির ভাগ মানুষই অন্য মানুষদের সঙ্গে করে। এগুলা নিয়া এমন ওয়াজ করনের দায়ভার যারা নেন সেই মোল্লারাও করেন। একগামিতা দিয়া শিল্পের কাগজের উদ্বোধন বিচার দেইকখা আক্কেলগুড়ুম হইয়া গেল রে!

(এফবি কমেন্ট, সেপ্টেম্বর ২০১২, মনজুরুল আজিম পলাশের প্রতি)

Leave a Reply