লেখারে ‘বলা’ বলা

লেখারে ‘বলা’ বলাটা রেওয়াজের বিষয় না। তা বলার কর্ম সাধন করে বইলাই ‘বলা’ বলা হয়।

লেখারে যে ‘খাওয়া’ বলার রেওয়াজ নাই তার কারণ ‘লেখা’ ‘খাওয়া’র সমার্থক এখনও হইয়া ওঠে নাই। লেখারে বলি যদি ‘জানানো’ সেও কেবল রেওয়াজ না, ওই ‘জানানো’টা ‘লেখা’র সমার্থক।

‘তিনি বললেন’ বা ‘তিনি লিখলেন’-এর সমার্থক হিসাবে ‘তিনি মনে করলেন’ বলার যে রেওয়াজ তা অন্যের ব্যাপারে আন্দাজমূলক একটা রেওয়াজ। সে কারণে ‘মনের ডাক্তারি’। ‘মনের ডাক্তারি’র বদলে ‘জ্যোতিষগিরি’ও বলা যাইত। কারণ দুইটাই উপমামূলক। অন্যের ক্রিয়া (‘বলা’ বা ‘লেখা’) ব্যাপারে আন্দাজমূলক সিদ্ধান্তরে (‘মনে করেন’) উপমার সাহায্যে (‘মনের ডাক্তারি’) ব্যক্ত করছি আমি। এই ডাক্তারি আপামর দেশবাসী কইরা বেড়াইতেছেন বইলাই যে তা মনের ডাক্তারি না তা বলা যায় না।

‘মনে করা’টা কোনো দৃশ্যমান ক্রিয়া না। এইটা দৃশ্যমান ক্রিয়ার ফল (যথা: বলা) হিসাবে কিছুরে সাব্যস্ত কইরা তার কারণ হিসাবে পূর্ববর্তী একটা অনিশ্চিত ক্রিয়ারে (মনে করা) কারণ হিসাবে ইন্ডিকেট করে। এইটা দেখায় যে মানুষ যে কিছু বলে তার কারণ মানুষ কিছু মনে করে। অর্থাৎ ‘মনে করা’টির ‘বলা’র পূর্ববর্তী হিসাবে হাজির থাকা আবশ্যিক।

কিন্তু আমার বক্তব্য হইল মানুষ মনে করে কি করে না তার সঙ্গে বলার সম্পর্ক নিশ্চিত না।

২৪/৫/২০১১

Flag Counter

Leave a Reply