তখন আমাকে ধাক্কা দিতে দিতে পারভেজ হোসেন ড্রয়িং রুম থেকে বের করে ডাইনিং স্পেসে নিয়ে যায়। সেখানে দরজার সামনে দাঁড় করিয়ে কলার ধরে এলোপাতাড়ি মারতে মারতে বলতে থাকে ‘শহিদুল আলম কি শহীদুল জহির? শহিদুল আলম কি শহীদুল জহির?’…
চঞ্চল আশরাফ
(৩১ ডিসেম্বর রাতে ইস্কাটনে কী ঘটেছিল?)
পারভেজ হোসেন চঞ্চল আশরাফরে মারছেন। এইটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু লেখক সমাজ পারভেজ হোসেনের নিন্দা করতে চাইতেছে শাস্তির ব্যবস্থা না কইরা।
হয়তো নানা ক্ষেত্রে তাকে বয়কটও করা হবে। কিন্তু যেহেতু তিনি প্রথম আলো সাহিত্য পাতার একজন প্রভাবক হিসাবে সাহিত্য মহলে পরিচিত সুতরাং এই নিন্দা কার্যকর হয়ত থাকবে না।
আমার দুঃশ্চিন্তা, হোয়াই লেখক সমাজ পারভেজ হোসেনের নিন্দা করতে লাগছেন? এবং হাস্যকর এই নিন্দা ব্যাপারটা আসলে কী?
ধরা যাক, পারভেজ হোসেনের কিছু একটা শাস্তি হইল। তবে কি লেখক সমাজ নিন্দার প্রস্তাবগুলা গুটায়া নিবেন? যদি নেন তবে বলা যাইতে পারে নিন্দা এইখানে ছিল শাস্তির বিকল্প। সামাজিক শাস্তি।
কিন্তু যদি শাস্তিলাভের পরও দুর্ভাগা আক্রমণকারী পারভেজ হোসেনের প্রতি নিন্দা বা বয়কট উইথড্র না হয় তবে এই নিন্দারে লেখক সমাজের বর্ণবাদী আচরণ হিসাবে দেখতে চাই।
এইভাবে, যে, লেখক সমাজ অন্য সমাজের মত নয়, লেখক সমাজে মারামারি চলতে পারে না, তাই নিন্দা ও বয়কটই হচ্ছে আক্রমণকারী লেখকের জন্য উপযুক্ত শাস্তি।
পারভেজ হোসেন যে আদৌ কোনো শাস্তিই পাইতে যাইতেছেন না ধোয়া তুলসি পাতাদের নিন্দার কাজ সেইটুকু নিশ্চিত করা।
১/১/২০১৫