‘আল্লা কী ভালো!’, ‘অসাম!’, ‘কিছুই হয় নাই!’, ‘ফালতু!’–ব্যক্তির পছন্দরে জানান দিতে গিয়া এই জাতীয় অভিধা বেশি ব্যবহৃত হয়। এই জানান দেওয়ার মইধ্যে সমালোচনা না থাকার ছদ্মবেশ থাকলেও এও এক প্রকার সমালোচনাই। তবে আপনি যদি ধরতে যান বিশেষণদাতা বলবেন–‘এ আমার ব্যক্তিগত পছন্দ। আপেক্ষিক ব্যাপার। আমি তো কোনো সমালোচনা করি নাই। আপনার খারাপ লাগলে লাগুকগা। আমি আমার কথা কইছি। আপেক্ষিক ব্যাপার।’!
হাঃ হাঃ। ‘আপেক্ষিক ব্যাপার’ ব্যাপারটা সমালোচনাহীন ভাবে ‘সমালোচনা গ্রহণ না-করার’ বহুল প্রচলিত সামাজিক রীতি।
সমালোচনা কোনো আপেক্ষিক ব্যাপার না। যদি তাই হইত তবে সমালোচনা আর সমালোচনাযোগ্য ব্যাপার থাকতো না। যা কিছু আপেক্ষিক তার আলোচনাও আপেক্ষিক। সেসব সমালোচনা না। এই যদি এই হয় ওই তবে ওই।
কোনো সমালোচনারে নিষ্পত্তি করা না গেলে, এড়াইয়া গেলে ওই সমালোচনা হাজিরই থাকেন। আপেক্ষিক থাকার ব্যাপার তাঁর থাকে না। নতুন সমালোচনা দিয়া খণ্ডন করা গেলে আগের নিহত সমালোচনারে আর ‘আপেক্ষিক’ মর্যাদা দেওন যায় না। তিনি তখন শেষ।
ব্যক্তির একান্ত ভালো লাগাগুলা প্রকাশিত না হইলে আপেক্ষিক থাকতে পারে, ভালো লাগার প্রকাশিত ভাষ্য আর আপেক্ষিক থাকে না। তারে বিচার বলা যায়। অন্যের রুচি বা ভালো লাগার বিপরীতে আমার নিজের একান্ত অ-ভালো লাগাগুলাও বর্ণনার কারণেই আগ্রাসী, ব্যাজ, ব্যঙ্গ, শ্রেণিস্বার্থ মূলক ভূমিকা নিতে পারে।