গণতান্ত্রিক দেশগুলিতে সকল ধর্মপ্রাণের উপাসনার অধিকার থাকে। অগ্নিউপাসকরাও সে অধিকার থিকা বঞ্চিত হয় না। ফলে কারো যদি আগুন পূজা করতে ইচ্ছা করে (এবং তাতে কেউ বাধা দেয়) তাইলে সরকারের কর্তব্য সেই পূজারীর নিরাপত্তা বিধান করা। উপাসকদের উপাসনার সুযোগ দিতে না পারলে রাষ্ট্র ফ্যাসীবাদী রাষ্ট্রে রূপ নিবে। তা আমরা এখনই চাই না। অন্তত আমি না।
কিন্তু, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন নামক বস্তুসমাহারটি এইবার নিবাইয়া ফেলন যাইতে পারে। গ্যাসপূজার বা অগ্নি উপাসনার কাম সরকারের না। বিপুল গ্যাস অপচয় কইরা গভমেন্ট পাবলিকরে বলে রান্নার পরে গ্যাসের চুলা বন্ধ রাখুন। আশ্চর্য!
শিখা চিরন্তন জ্বালাইয়া রাখনের মাজেজাটা কী? কী প্রতীক সার্ভ করে এইটা? যে এত এত অপচয়ের মধ্য দিয়া এই ধিকি ধিকি অগ্নি প্রজ্বলিত রাখতে হবে?
যারা এই আগুন জ্বালাইয়া রাখতে প্রত্যাশী তারা বলবেন কি কেন এই আগুন নিবতে দেওয়া যাবে না? যখন পাতালে গ্যাস ফুরাবে (অর্থাৎ এইটার একটা কালপর্ব আছে। চিরদিন এই আগুন জ্বালাইয়া রাখা যাবে না।) তখন কী দিয়া জ্বালাইবেন এই চিরন্তনরে? বায়োগ্যাসে?
আমাদের রাষ্ট্র কেন পৌত্তলিকতার এই ধরনটা বাইছা নিল, কাদের পরামর্শে, খুব জানতে ইচ্ছে করে। রবীন্দ্রনাথ বড়জোর মঙ্গলপ্রদীপে আছিলেন (তা মনোহর)–কিন্তু পাইপ দিয়া গ্যাস টাইনা আইনা পরে হুদাই একটা জায়গায় জ্বলাইয়া দেওন–এমন অভাবিত কাজ বা ভাবের অকাজ-এর পরামর্শ তিনি দিছিলেন এমনটা মনে হয় না।
মাথামোটা সচিব-বুদ্ধিজীবীরা এই পরামর্শ দেয় নাই তো গভমেন্টরে!
১/১০/২০০৯