সলিমুল্লাহ খান এই দেশে ভাষারীতির অন্যতম ঘরানা। ছোট ছোট সলিমুল্লাহরা বৃহৎ সলিমুল্লাহকে ছোট করেন তাঁরই ‘বক্রোক্তি মিশ্রিত সাধু ভাষা’য়–অধুনালব্ধ বিদ্যার তেজ দিয়া। যে বিদ্যা তাঁদের কাতরতাসহ দান করেন সলিমুল্লাহ খান। তাঁদের কণ্ঠে সলিমুল্লাহ খানের কাতরতা ফুইটা ওঠে ঠিকই তবে বিদ্যার দৌড় বড়জোর `কাক’তক পৌঁছায়।
আন্দাজ করি, বই পইড়া বিদ্যার সূত্র উপায়ের সহজ রাস্তা শিষ্যদের বাতলায় দেন সলিমুল্লাহ নিজেই। এই হদিসতা ‘জ্ঞানতাপস’ আবদুর রাজ্জাকের থিকা পাইয়া থাকবেন খান। রাজ্জাক নিশ্চয়ই লাস্কি থিকা পাইছিলেন, পিএইচডি করনের কালে। টাইম কম থাকায় খালি বইয়ের নাম আর কত পৃষ্ঠায় পিএইচডির জন্য নিতান্ত জরুরি বিষয়।
যেহেতু রাজ্জাক পিএইচডি কইরা উঠতে পারেন নাই আর সলিমুল্লাহ অনেক টাইম নিছিলেন ফলে ওনাদের হদিসময়তা আর ছাড়ে নাই। পাঠরীতির হদিস পদ্ধতি বা ক্লাসরুম পদ্ধতিই ওনাদের পাইয়া বসছিলো। যে কারণে বইয়ের নাম বলা বা লেখকের নাম বলা তাঁদের বিদ্যাদানের অবিচ্ছিন্ন গৎ। আমি বিদ্যাসংগ্রহের এই বিশ্ববিদ্যালয় পদ্ধতির প্রতি সহানুভূতিশীল। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের জন্যে এই রীতি কাজের। অনেক কিছু না ঘাইটা পরীক্ষা দিয়া আসন যায় সহজেই। নোটবুকসম টিচার হিসাবে সলিমুল্লাহ তাঁর ছাত্রছাত্রীদের কাছে জনপ্রিয় হবেন এ তো স্বাভাবিক। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া বা পত্রপত্রিকা বা ওপেন তর্কের প্লাটফর্মগুলা ঠিক কী কারণে কারি কারি বইয়ের দুর্দশা দিয়া ভইরা উঠবে বুঝিতে না পাই!
আমার এই সলিমুল্লাহ নিন্দায় নিজের না জানার বিষয় কিছু নাই–কারণ জানার দরকারই নাই। আমার পিএইচডি ধরার ব্যাপার ছিল না, নাই–কত পৃষ্ঠা, কত সাল এগুলা আমার গ্ল্যামার না। আমি নিজের বিদ্যাও জাহির করি না। তা নাইও অবশ্য। আমার পদ্ধতি তর্ক। তর্ক করতে গেলে যাদের বইয়ের নাম কপচাইতে হয় তাদের বিদ্যাকে ওয়ালাইকুম আস সালাম।
৯.১২.২০১২