হাজার বছর বললে যে কবিতায় কালকেন্দ্রিক লীলে…

“আমি কোন এক পাখির জীবনের জন্য অপেক্ষা করছি

তুমি কোন এক পাখির জীবনের জন্য অপেক্ষা করছো

হয়তো হাজার হাজার বছর পরে

মাঘের নীল আকাশে

সমুদ্রের দিকে যখন উড়ে যাবো

আমাদের মনে হবে

হাজার হাজার বছর আগে আমরা এমন উড়ে যেতে চেয়েছিলাম।”

(হাজার বর্ষ আগে । জীবনানন্দ দাশ)

এই কবিতার দুর্বলতা হইল–যেইটারে আর কেউ দুর্বলতাও বলে না–বলে লোকে ‘জীবনানন্দ’–তবু দুর্বলতাই যে–এইখানে হাজার বছর পরে যে আবহে পাখি হওয়া হচ্ছে তা বড়ো লেখক যখন লিখতেছেন তখনকারই–এবং হাজার বছরে কিছু হাজার বছর না হওয়া এক অভাবগ্রস্ত কল্পনাশক্তি–মানে তখনও যখন লিখছেন কবি বলতে পারতেন আমি পাখি তুমি পাখি–যে অবলীলেয় পাখি হওয়া হইল তার জন্যে হাজার বছর ওয়েট করার দরকার আছিল না–তখনও বলতে পারতেন কিন্তু হাজার বছর বললে যে কবিতায় কালকেন্দ্রিক লীলে বা আড়ম্বর হয় তার আকাঙ্ক্ষায় কি এরকম বলা?–এ রকম জীবনানন্দ অনেক বলছেন–ফট ফট কইরা বলছেন–তবে কবিতার কবিত্বময় লাইন প্রথম দুইটা–আর শেষেরটা।

 ৮/৮/২০১১

Leave a Reply