ধর্ম, আইন, নৈতিকতা ও মানুষের অধিকার

১.
ধর্ম চলে নিষেধ বা রীতি দিয়া, তাতে মানুষের ব্যক্তিগত স্পেস বা স্বাধীনতার সীমানা আইন বা নৈতিকতার চাইতে বেশিই থাকে।

আপনি ধর্মানুসারে ও তাতে আপনার অবস্থানের ভিত্তিতে চারটা বিয়াও করতে পারেন, স্ত্রীর বোনকেও বিয়া করতে পারেন। সতীকে পোড়াইতে পারেন। আপনি ধর্ম থিকা স্খলিত হইতে পারেন, আবার ক্ষমা চাইয়া পুনরায় শুরু করতে পারেন।

একেক সোসাইটিতে একেক কিছু করতে পারেন যা অন্য অন্য সোসাইটি আবার আপনাকে করতে দিবে না।

ধর্ম মানে অপশন, যুগের সাথে তাল মিলানো অপশন। অপশনের ভিতরে আরো অপশন।

ধর্মানুসারে আরো অনেক কিছুই করতে পারেন যা নৈতিকতা বা আইন আপনাকে করতে দিবে না।

‘নৈতিকতা’ চায় টোটাল সমর্পণ। আর ‘আইন’ অন্ধ। মানুষ হিসাবে কিছু নিয়মের দ্বারা পরাধীন থাকেন আপনি এই দুই স্থলে। যেহেতু সকলের জন্যে সমান এই দুই জিনিস।

ধর্ম তা নয়। ধর্ম পরিস্থিতি অনুসারে কানুন বদলায়।

আমি নৈতিকতাকে মানব-বিরোধী জ্ঞান করি।

ধর্মের সঙ্গে নৈতিকতার স্পষ্ট বিভাজনের অভাবেই ধর্মকে নৈতিকতার ভারবাহী করা হইছে যুগে যুগে।

সময় আসছে ধর্ম ও নৈতিকতাকে আলাদা কইরা ফেলার।

আইন ইতিমধ্যে নৈতিকতা থেকে নিজেরে আলাদা করতে পারছে, ধর্ম পারে নাই।

ধর্মের যা খারাপ তা মূলত নৈতিকতার খারাপের সমষ্টি।

২.
এই সব কিছুরই বাইরে আছে মানুষের অধিকার। যাকে ভুল ভাবে ব্যক্ত করা হয় নাগরিকের আইনি অধিকার হিসাবে।

আমি মনে করি, মানুষের অধিকারের আলাপ করতে চাইলে ধর্ম, নৈতিকতা ও আইনের বাইরে গিয়া নতুন কইরা সে আলাপ শুরু করতে হবে।

কীসের ভিত্তিতে শুরু হবে মানুষের অধিকারের আলাপ? ধর্ম, নৈতিকতা, আইন এইসব দিয়া? নাকি এইসব ছাড়াই?

আপনি কী ভাবেন?

২৬/৯/২০১৭

Leave a Reply