অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবী ও বিজ্ঞানবন্ধু ফাহাম আব্দুস সালাম দেখলাম মাহমুদুর রহমান, পিনাকী ভট্টাচার্য, শহীদুল আলমের সঙ্গে ছফার তুলনা করছেন।
বলছেন যে এদের নখের সমান সাহসীও ছিলেন না ছফা।
এই তুলনায় সাহস বলতে নিজেকে নির্যাতিত হইতে দেওয়ার সাহস, হঠকারিতার সাহস ও বাইরের কানেকশনে সাহস দেখানোর সাহসের কথা বলতেছেন ফাহাম।
লেখালেখির জগতে সাহস বলতে ভিন্ন কিছু বোঝায়। তার সঙ্গে বিচক্ষণতা যুক্ত। বালকের সাহস বা আত্মহত্যাকারীর সাহসের সঙ্গে তুলনা চলে না লেখক-বুদ্ধিজীবীর সাহসের।
যখন আপনার পিছনে শক্তিশালী রাজনৈতিক দল থাকবে, আন্তর্জাতিক ক্ষমতাবান গোষ্ঠীর সঙ্গে আপনার কানেকশন থাকবে বা আপনি ভিনদেশে বিরাজ করবেন তখন সাহস দেখানোর খুঁটা থাকতেছে তাই আপনি সাহস দেখাইবেন, আপনি তা দেখানও।
এবং ওইটা সাহস না। নিরাপদ বিরোধিতা।
তেমনি শহীদুলের পিছনে যে ব্যাকআপ থাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সেইটারও নাম আছে। বরং সরকার যে বাইরের সেই ব্যাকআপরে পাত্তা না দিয়া শহীদুলরে আটকায় রাখতে পারল ওইটা সরকারের সাহস।
আপনার ধারামতে এও সাহসই।
ছফা নিশ্চিতই আপনার নখের সমান সাহসও রাখতেন না।
ছফার বুদ্ধিজীবিতাকে এড়ানোর জন্যে কিছু লোকজন তাকে ‘সাহিত্যিক’, ‘সাহসী’ ইত্যাদি ট্যাগে অভিষিক্ত করতে শুরু করছে দেখলাম।
এগুলি শয়তানি পলিটিক্স।
ছফা বিচারের জন্যে সাহস কোনো ভালো গজফিতা না। আপনার জন্যে কি তা ভালো ফাহাম?
মনে হয় না।
সাহস দেখানো বাদ দিয়া আপনার সূক্ষ্ম ও নবীন চিন্তা শেয়ার করার যে প্রতিভা আছে তাতে মনোযোগ দিতে পারেন।
আপনার সাহস পর্যুদস্ত বিএনপিকে উদ্দীপিত করবে না, যেহেতু। মনে হয়।