জন্মদিনে লুঙ্গি কাছা দিয়া নাইচা পরিমণি রুচিহীনতা প্রদর্শন করছেন। আমার তা ভালো লাগছে।
রুচিহীনতা বা কুরুচি প্রদর্শন করার অধিকার তার আছে। তেমনি রুচিহীনতারে রুচিহীনতা বলার অধিকারও ভদ্র সমাজের আছে তো!
অনেকে দেখলাম কেবলই পরিমণির রুচিহীনতার অধিকাররেই অধিকার হিসাবে দেখে, তা নিয়া সমালোচনার অধিকাররে আর দেখতে পায় না।
এমনিতে কুরুচিকে অনেকে এক্সপেরিমেন্ট হিসাবেও দেখে। যেমন প্রতিক্রিয়া, বিরোধ, বাইনারি অপজিশনরেও অনেকে এক্সপেরিমেন্ট মনে করে।
আমার কুরুচি বা ব্যাড টেস্ট ভালোই লাগে। সেইটারে সুরুচি বানাইয়া দেখতে হয় না। কারণ কুরুচিরে সুরুচি বানাইলে তা শেষ পর্যন্ত সুরুচিরই আওতা বৃদ্ধি করে। তাতে কুরুচি বা অশ্লীলতা দেখার আনন্দ লাভ ঘটে না।
যার যার রুচি তার তার হয় সমাজ না থাকলে। সমাজ থাকলে রুচিরও একটা সমাজ সম্মত অবস্থান থাকে। পরিমণি সেইটাতে ফেইল করছেন।
২.
এইখানে বেশ জনপ্রিয় যে, আপনি অরুচিকর বা কুরুচির কোনো কাজ করলেন মানে রুচির বিরুদ্ধে ফাইট কইরা সারলেন! হাঃ হাঃ।
রুচি মানে সিস্টেমও। আপনি খাওয়ার ঘরে খাইলেন আর হাগার ঘরে হাগলেন। তাতে রুচি বিপর্যয় ঘটে না। এর সবই রুচিসম্মত। অরুচি বা কুরুচি হয় যখন খাওয়ার ঘরে হাগলেন বা হাগার ঘরে খাইলেন।
এই জিনিসরে আপনি বলতেই পারেন রুচির বিরুদ্ধে ফাইট। বলতে কে নিষেধ করে!
এই রকম একটা দৃশ্য আছে বুনুয়েলের কোনো একটা ছবিতে। ‘ডিসক্রিট চার্ম অব দ্য বুর্জোয়া’তে কি? যেখানে সবাই কমোডে বইসা খাইতে খাইতে গম্ভীর আলাপ করে।
অরুচি বা কুরুচিরে যদি কুরুচি বইলা স্বীকার না করেন তবে রুচির বিরুদ্ধে আপনি কী লইয়া ফাইট করতেছেন? কোন রুচির বিরুদ্ধে?
২৭/১০/২০২১