রবীন্দ্রনাথের কবিতা যে মইরা গেল এর কারণ কী?
ভারতচন্দ্র বা মধুসূদন যে অর্থে ক্লাসিক্যাল হইয়া আছে রবীন্দ্রনাথের কবিতা সেই ধ্রুপদী মাত্রা পাইল না যে!
এমনকী নজরুলের ‘বিদ্রোহী’র মত শিশুতোষ কবিতাও যেই ক্লাসিক্যাল জায়গা পাইছে রবীন্দ্রনাথের কবিতার তেমন কিছু কিন্তু ঘটল না!
এইটা রবীন্দ্রময় বেঙ্গলি জাতির জন্যে নিয়তির একটা গ্রেট ছলনা।
আবৃত্তিকাররাই ওনার কবিতার গোয়া মারছেন তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।
আমাদের সাধারণ জীবনের শব্দাবলী, বাকরীতি ইত্যাদির কতকিছু ঘটাইয়াও তো টিকতে পারলো না টেগোরস পোয়েম। কেন?
আমরা তো বরং টেলিভিশন ফেলিভিশনে, বিজ্ঞাপন ও মিডিয়ায় রবীন্দ্রনাথের কেতাই বেশি বিনিময় করি। তবু তাঁর কবিতা কেন টিকল না। আহা!
ভাবি, রবির চাইতে ভারত আর মধু যে অধিক (সংখ্যা নয়, মান বা গুরুত্বে) কবিতা লিখা গেছেন তা কেমনে রবীন্দ্রনাথ না দেইখা থাকতে পারছিলেন তাঁর মহাজীবদ্দশায়। কত রকম অন্ধত্বই থাকে!
ওই দুইজনেরে নিয়া বা বাদ না দিয়া যদি আসতেন রবীন্দ্রনাথ তাইলে তাঁর কবিতাও এই রকম মাঠে মারা যাইতো না, বাংলা কবিতারও একটা ঐতিহাসিক অগ্রগমন ঘটতে পারতো।
জীবনানন্দের বাংলার ভূগোল লইয়া ইউরোপীয় একাকিত্বই শেষ পর্যন্ত আমাদের কালে বাংলা কবিতার আশ্রয় হইয়া রইল। কিছুটা আল মাহমুদ আসছিলেন। কিন্তু তিনি রবীন্দ্রনাথ থিকা বাইর হইতে পারলেন কই আর?
৯/৫/২০১৪