দেশমাতৃকার প্রতি প্রেম প্রকাশের ক্ষেত্রে পণ্য না কিনাটা বা দেশের পণ্য কিনাটা আর কার্যকর নাই বহুদিন হইল। যেই জিনিস শস্তা টেকসই তা কিনবার কর্পোরেট শান্তির মধ্যে জনগণ বিরাজ করে। সব দেশেই করে। বড় দেশগুলা বিশাল জনগোষ্ঠীর কারণে শস্তায় ভালো জিনিস দিবে। ছোট দেশ তা খাবে আর বিপরীতে কিছু বেচতে না পারলে স্রেফ সেবা বেইচা অর্থাৎ গোয়া মারা দিয়া টিকা থাকবে।
যেহেতু দেশপ্রেম এখন এক আন্তর্জাতিক বা কর্পোরেট ব্যাপার, যেহেতু কোম্পানিগুলাই চায় ছোটলোকগুলা ছোট ছোট দেশেই থাকতে থাকুক তাই তারা নানা উছিলায় দেশপ্রেম শিখায় আমাদের আর আমরাও শিখি। দেশ নিয়া গর্বও শিখি। তাতে লাভ কর্পোরেট বিশ্বেরই।
আপনি যদি দেশপ্রেমে ঋদ্ধ বাংলাদেশী গার্মেন্টস শ্রমিক হন তার অর্থ আপনে এই পোড়া দেশে পইড়া পইড়া শস্তায় শস্তায় ছন্দে ছন্দে ওনাগো কাপড় শিলাইবেন আর দেশপ্রেম করবেন আর ভাববেন—কিছু ভাবতে পারবেন না—আপনের সেই টাইমই তো নাই—আপনে তো সময়ের অভাবে আর কমপিউটার না থাকায় আপনের পক্ষে লড়াইরত মধ্যবিত্ত ভাইবইনগো ব্লগই পড়তে পারেন না। আপনে খালি বড়লোকদের পোশাক বানান। আপনে তো আসলে নাই-ই। আর আপনের দেশপ্রেম!
2 Comments
Add Yours →