রেডিওর আরজেদের বাংরেজি হোনলে যারা হাইপার হইয়া যান তাদের এই অ্যাংগার ইংরেজি ভাষার ইজ্জত রক্ষা করতে না পারার বেদনা থিকা আইসা থাকতে পারে—নট বাংলা ভাষার। বাংলা তো এমনেই ইংরেজির চেয়ে অপদস্থ, ধরা খাওয়া ভাষা। সে ভাষায় ইংরেজি মিশলে তাঁর আর কী সমস্যা? বরং ইংরেজি ভাষারে ফাইট দিতে চাইলে এই মিশ্র, অ-বনেদি বাংরেজি বা Engলাই পারবে! আরজেরা বাংলা না, ইংরেজিরই গোয়া মারতেছেন।
বাংলার গোয়া অনেক আগেই ইংরেজিঅলারা মাইরা দিয়া গেছেন। এখনো মারতেই আছেন। দ্বিবম্প্রকারে:
এক. ইংরেজি ভাষারে ইজ্জতের জায়গায় বসাইয়া দিয়া।
দুই. শুদ্ধ বাংলারে ইংরেজির বিকল্প বানাইতে চাইয়া।
যদি তা না-ই হইত অফিস আদালতে শিক্ষিত লোকের মুখগহ্বরে ইংরেজির খই এত ফুটতে থাকত না। আপনে এই দেশের আধা কর্পোরেট গ্লোবাল গ্রাম্য অফিস ব্যাংক ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে যান, ধুমাইয়া সকলে ইংরেজি কইতেছে! তাই খুশি খুশি মুখ। এই খুশি ইংরেজি বলতে পারার। এবং এই ব্যাপারে বাংলা ভাষাসৈনিকরা উন্নয়নজনিত নিরবতা পালনে ব্যস্ত। কেননা, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য ইংরেজির দাসত্ব অত্যাবশ্যক বটে তবে আরজেদের বাংরেজি অসহ্য!
কই, কেউ তো ইংরেজির তাল্লুক বন্ধ করার আন্দোলনে নাই। বরং বলা যায়, আরজেরা ইংরেজির ইংরেজিয়ানারে নিরলস গোয়া মারতে আছেন, তাদের চতুর্ভুজ মহাপ্রাণ ধ্বনির ছোঁয়া লাগা বাংরেজি বা Engলা উচ্চারণের মইধ্য দিয়া।
বাংলায় ইংরেজি মিশলে বাংলা দ্রুতগতির হবে, বাংলার জাত তৈরি হবে এমন সহজ প্রজেক্ট থিকা রেডিও আরজেরা বাংলায় ইংরেজি মিক্স কইরা সেই জাত প্রতিপন্ন করতে আছেন হয়তো। ইংরেজির দাসত্বের কারণেই এইটা তারা করতেছেন। তবে বাংলা ভাষার জন্য ইংরেজির এই অর্ধ চাকররা পূর্ণ চাকরদের চাইতে ভালো। কেবলই বাংলা বলার হাত থিকা নিজেদের রক্ষা করতে গিয়া কেবলই ইংরেজি শোনার হাত থিকাও তো নাজাত দিতেছেন তারা।
ভদ্রলোকের মুখ থিকা যেইসব ইংরেজি বাইর হয় তা যদি রাস্তার কুকুর বেড়াল ফকিন্নীর বাচ্চারাও কপচাইতে থাকে তখন ওনাদের কেমন লাগে! এই দেশে বাংরেজি কোনো প্রবলেম না। ইংরেজি শিখাটাও অবশ্য দরকারি। ইংরেজির হাতে সকল দিয়া গোলাম হইয়া বইসা থাকাটাই সমস্যার।
২১.৮.২০১০