চঞ্চলকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় কামুর লোক সাহিত্য পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের সমস্যা

গল্পকার পারভেজ হোসেন কর্তৃক কবি চঞ্চল আশরাফকে লাঞ্ছিত করার কারণে কবি কামরুজ্জামান কামু কর্তৃক লোক সাহিত্য পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের ঘটনা ঘটছে। ৩ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে কামু ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন:

“যে সংঘ চঞ্চল আশরাফের মত আপাদমস্তক একজন কবিকে প্রায় অকারণে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে পারে, সেই সংঘ থেকে নিজ দায়িত্বে দূরে থাকা আমি সঙ্গত মনে করি! কবি চঞ্চলকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে ২০১৫ সালের জন্য আমার নামে ঘোষিত ‘লোক সাহিত্য পুরস্কার’টি আমি প্রত্যাখ্যান করলাম! সমাজ কলুষমুক্ত হোক! মানুষের হৃদয় পবিত্র হোক!”

সাহিত্যিকদের অনেকেই উদ্বেলিত সমর্থন জানাইছেন এই প্রত্যাখ্যান ঘোষণায়।

আমার মতে এই প্রত্যাখ্যান একটা খারাপ উদাহরণ হইয়া থাকল। এই বিনা-কারণ প্রত্যাখ্যান সম্পাদক শামীমুল হক শামীম ও তার ‘লোক’ পত্রিকার প্রতি স্পষ্টত অন্যায় আচরণ।

নানাজনের প্রকাশিত বক্তব্য থিকা এইটা স্পষ্ট, শামীমুল হক শামীম পারভেজ হোসেনের ৩১ ডিসেম্বর রাত্রির চঞ্চল আশরাফ লাঞ্ছনাকর্মের রুমটিতে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে অনুপস্থিত ছিলেন। সশরীরে যোগ যেমন দেন নাই, তেমনি সালিশও করেন নাই তিনি। ঘটনার পরবর্তীতে তা সমাধানে উদযোগী না হওয়ার স্বাধীনতা তার আছে।

যোগ দিলে শামীমুল হক শামীমরে অপরাধী ধরা যাইত। সালিশ না করার কারণে অপরাধী সাব্যস্ত করার সুযোগ নাই।

‘চঞ্চল লাঞ্ছনা ষড়যন্ত্রে’ শামীম যুক্ত ছিলেন এই সন্দেহে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন কি কামু? সন্দেহ থিকা পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের মত মানহানিকর কাজ কি করা যায়? ‘লোক’ এবং শামীমের যে মানহানি ঘটল এই প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়া তা কী কারণে?

২.
চঞ্চলকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সকলকে যুক্ত না কইরা যারা এতে অংশগ্রহণ করছিলেন তাদেরকেই দায়ী করা কর্তব্য। কোথাও পার্টিতে যাওয়া, মদ খাওয়া ইত্যাদিকে যারা খারাপ দৃষ্টিতে দেখবেন তাদের কাছে অবশ্য ওই রাত্রির সকলেই অভিযুক্ত।

নিশ্চয়ই তাদের সকলের সঙ্গে কামরুজ্জামান কামু সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবেন না। তাইলে তিনি পুরস্কার বিয়োগ করলেন কীসের ভিত্তিতে?

৫/১/২০১৫

Leave a Reply