“হুমায়ূন আহমেদের ‘নেই’-কে ‘নাই’ লেখাটা আমাকে বরাবরই বড় পীড়া দিয়েছে। জানি না পরে তিনি ‘নাই’ এবং আরও কিছু ভাষার দোষ কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন কি না। অর্ধশিক্ষিত পাঠকদের জন্য পৃথিবীর সব দেশেই কিছু লেখক আছেন, তাঁরা জনপ্রিয় বই লেখেন।”
—তসলিমা নাসরিন (হুমায়ূন: পুরুষতন্ত্রের সম্রাট, আমাদের সময়.কম)
যে লেখক গুরুচণ্ডালী দোষ নিয়া দুঃচিন্তিত থাকে তিনি নিচু মানের লেখক।
হুমায়ূন যে ‘নেই’ না লেইখা ‘নাই’ লিখতে পারছেন তা অভিনন্দনযোগ্য। আরো বেশি অভিনন্দনযোগ্য ব্যাপার হইল একান্তই ‘নেই’ বা ‘নাই’-এ নিযুক্ত না হইয়া যাওয়া। ভাষারে পতাকা না বানাইয়া ফেলানো। যখন যেমন খুশি লিখতে পারতে পারা। ভাষা আপনের অগ্রে চলবে না। আপনি লেখবেন তাই ভাষা।
কিন্তু তসলিমা লিখতে চান যে ভাষায় সবাই লিখছে—না না তাও না, কেবল শিক্ষিত পাঠকদের কথা চিন্তা কইরাই তিনি ‘নেই’ লিখতে চান। তাকে সে সুযোগ দাই আমরা বরং।
আরো পড়ুন: কলকাতায় হুমায়ূন ও অন্য মুসলমান লেখকেরা
যারা লেখারে ছোলা শশার মত ফকফকা রাখতে চান তেমন লেখকরা বাহ্যত অনুশীলনকারী। ভিতরে হয়তো যারপরনাই গভীরতা আছে। কিন্তু কী দিয়া তা বোঝা যাবে?
তসলিমা নাসরিনের যুক্তিবিদ্যা নিয়া আমার জানাশোনা নাই, হয়তো ভালোই লেখেন। কিন্তু ভাষা ইত্যাদি তার যে ব্যাপার না তা বেশ বোঝা যাইতেছে।
দীর্ঘদিন শিক্ষিত বিদেশীদের সাহচর্যে থাকলেও কত কিছুই অধরা থাইকা যায়! মে বি তিনি ইংরাজিতে ‘nai’ লিখতে এতদিনে শিখছেন।
১৫/৮/২০১২