অসাধারণদের বিচার কি আর সাধারণদের মত কইরা হবে নাকি!

অসাধারণরা বা বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তরা যে সাধারণ মানুষের সমান হইতে চান না তা নিয়া বিশেষত বিপ্লবী বা সচেতন মানুষের মধ্যে অনেক আক্ষেপ দেখা যায়।

সাধারণ নামক গডের ধারণা সবার মধ্যেই কম বেশি দেখা যায়। আমি সাধারণ পূজার এই অবস্থাকে নেতাদের জন্যে অনুপযুক্ত বিবেচনা করি। কেন?

আমি মনে করি রাজনৈতিক অবস্থান বা ক্ষমতা ব্যক্তিতে কেন্দ্রীভূত হইতে হবে। তবেই নেতা তৈরি হবে।

যিনি নেতা হবেন তিনি বিশেষ হবেন। তার ক্ষমতা সবার মধ্যে ছড়াইয়া দেওয়ার না। সবার মধ্যে যখন সব কিছুর ভাগ ছড়াইয়া দিতে হয় তারে বলে পৌর কর্তব্য। যেমন রেশনে সবার জন্যে ফজলি আমের বরাদ্দ দিতে পারেন আপনারা। কিংবা ইন্ডিয়ান গরু।

ফলে আর সব চোর বাটপার দাগী আসামীরা যেইভাবে বিচার নামক গডের সামনে অস্থির হইয়া থাকবেন আদালতে এই নেতারা তেমন থাকবেন না। নেতারা তাদের পলিটিক্যাল পাওয়ার, বিজ্ঞাপনী কৌশল, ব্যক্তিত্বের প্রখরতা, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি দিয়া বিচার পদ্ধতিরে রাজনৈতিক ভাবে ট্যাকল করবেন। ওনারা নিজেদের তালগাছ রক্ষা করতে পারলে সেইটাই আসল বিচার। সদর্থে।

বিচারের সামনে “আমিও আর সবার সমান” মানে অবিচাররে মাইনা নেওয়া। তা করা যাবে না। আপনি বিচারের সঙ্গে লড়বেন আপনার রাজনৈতিক অবস্থান ও বিশেষ কৌশল সহকারে। তখন যদি সাধারণ জনগণের মত হইতে হয় তাও হবেন কখনো কখনো। যদি রাজার মত হইতে হয় রাজার মত আচরণ করবেন।

বিচারের মাঠে সবার সমান হওয়ার ধর্মীয় দাবিকে অগ্রাহ্য করতে হবে। কাউকে কাউকে অসাধারণ হইয়াই ফাইট দিতে হবে। তাতেই ধীরে সাধারণ মানুষের মর্যাদা আসবে।

সাধারণ মানুষের কাতারে নাইমা অবিচারের গোয়া মারা খাইলে কোনো দিনই সাধারণ মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে না।

‪১১/৬/২০১৫

Leave a Reply