১.
সাধারণ মানুষ তো বটেই, বিএনপি নেতাদের একাংশও মনে করছেন—মোদীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মুখ পুড়িয়েছেন খালেদা জিয়া, এবং এর জন্য তাঁর একগুঁয়ে মনোভাবই দায়ী।
২.
যে ভাবে সরকারের বিরুদ্ধে তিনি বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে নালিশ করেছেন, দেশে গণতন্ত্র নেই বলে অভিযোগ করেছেন, তাতেও প্রশ্ন উঠেছে।
৩.
খালেদাকে বসিয়ে রেখে তাঁর সামনেই ইনু-মেননদের ডাক পড়ে মোদীর সঙ্গে আলোচনার জন্য। সবার শেষে খালেদার জন্য তখন মিনিট দশেক সময় হাতে ছিল মোদীর।
– আনন্দবাজার (নিজে যেচে মোদীর সঙ্গে দেখা করে কাঠগড়ায় খালেদা, ৯/৬/২০১৫)
আনন্দবাজারে প্রকাশিত মোদী-খালেদার ছবি
খালেদা জিয়া এমন জায়গায় পৌঁছাইছেন বা তারে নিয়া যাওয়া গেছে থ্রু ইন্ডিয়া যে তিনি যাই করেন না কেন তা তারে আর ছোট করে না।
কারণ, তিনি জাস্ট টাইম পাস করতেছেন।
যেখানে গণতন্ত্রের চর্চা নাই এবং যাদের কারণে গণতন্ত্র উধাও তাদের সঙ্গে ডেকোরামের কিছু নাই। খালেদা মোদীর কাছে অর্থহীন নালিশ যা করছেন তা ঠিকই আছে। তিনি মোদীর সঙ্গে যে আলাপই করতেন না কেন তা অর্থহীনই হইত।
রাজা হবুচন্দ্রের কাছে গিয়া তিনি এবং তার স্নেহধন্যরা কী কী ফাউল করতেছে তার বিবরণ শোনানোর মধ্যে অ্যাবসার্ড সময়রে উদযাপনের আনন্দ আছে।
খালেদা কিছু না করলেও তা ঠিকই থাকত। কারণ তিনি মূলত ইন্ডিয়ান খারাপ পলিটিকসের ভিকটিম।
যখন আপনি কিছু করতে পারতেছেন না তখন অন্তত মন্দকে মন্দ বলতে চেষ্টা করেন।
খালেদার তথা বাংলাদেশের একজন নেত্রীর অমর্যাদা যদি মোদী কইরা থাকেন সেইটা একান্তই মোদীর দায়, খালেদার না।