প্যাটেন্ট: আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের মার্কিনতা

উচ্চারিত বা লিখিত বাক্যবন্ধ বা যে কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক উৎপাদনের প্যাটেন্টের বিরোধিতা আমি করতে চাই। বুদ্ধিবৃত্তিক উৎপাদনরে আইনী ব্যাপার কইরা তোলার মাধ্যমে রাষ্ট্রের আওতা বাড়াইয়া দেওয়া হয়। ব্যক্তির মালিকানা পোক্ত হওয়ার কারণে ব্যক্তির অধিকার আরো কইমা আসে। যে কোনো মালিকানা যেহেতু রাষ্ট্রের বা সঙ্ঘের দালালিতে সাধিত হয় সুতরাং তা সঙ্ঘ বা রাষ্ট্রের ক্ষমতা বাড়ায়।

যে কোনো বিষয় আগে যে কেউ উচ্চারণ করছে বা লেখছে সে জন্য সেই একই ব্যাপার আমি আর নিজে উচ্চারণ করতে পারব না বা নিজেই লেখছি এমন দেখাইতে পারব না এর মধ্যে দুনিয়ার দ্রব্য ও ধারণা সমূহের কালকেন্দ্রিকতা প্রকট বা সত্যে পরিণত হয়। ফলে যে কোনো জিনিসই ঐতিহাসিক এমন একটা ডগমারে আমরা মাইনা নিতে থাকি।

এ ছাড়া প্যাটেন্ট করণের মাধ্যমে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক উৎপাদনগুলার অভিভাবকত্ব আমরা ক্রমে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুইলা দিতে থাকি। কাজে কাজেই আমাদের কাজের মার্কিনতা তৈয়ার হয়।

প্যাটেন্ট করণ নিপাত যাক। পাইরেসি জিন্দাবাদ! এক কেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থায় মনপ্রাণ নিবেদিত বুদ্ধিজীবীরা নিজ নিজ আস্তিকতা বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠুন।

১৪.১০.২০০৯

 

3 Comments

Add Yours →

Leave a Reply