অপরাধীর দৃষ্টিতে আইন

ইরানের রেহানে জাবারি। ফাঁসিতে ঝুলছেন উনি। কিন্তু তাতে কইরা কি তিনি আইন মানছিলেন বলা যাবে?
ইরানের রেহানে জাবারি। ফাঁসিতে ঝুলছেন উনি। কিন্তু তাতে কইরা কি তিনি আইন মানছিলেন বলা যাবে?

অপরাধী আইন মানে কেন? যদি অপরাধী বাধ্য হয় আইন মানতে সে মানারে মানা বলবেন কীভাবে?

সেইটা তো মানানো। মানে না মানা। মানে অপরাধী আইন মানে না।

কিন্তু যেসব অপরাধী মানে আইন?

যখন আপনি বাধ্যতামূলক ভাবে কিছু মানতে বাধ্য করতেছেন তখন সে স্বেচ্ছায় সে জিনিস মানতেছে তা আর বলার রাস্তা থাকে না। বা সে মানাতে কিছু যায় আসে না।

সুতরাং অপরাধের বিচারের মধ্য দিয়া অপরাধীর প্রতি বলপ্রয়োগই ঘটনা। এই বলপ্রয়োগকে বৈধ ধইরা নেওয়ার ইতিহাসই সভ্যতার বা আইন ও শাসনের ইতিহাস। আমি এর উল্টাটা ঘটাইতে হবে এমন আবদার করতেছি না। জাস্ট বলপ্রয়োগের চরিত্র নিয়া বা অপরাধীর প্রতি বলপ্রয়োগ যে ঘটে সেইটা বলতেছি। তা যতই পবিত্র বা বৈধ হউক না কেন।

আমি বলতে চাইতেছি সমস্ত আইনের প্রয়োগই অপরাধীরা আইন মানতে রাজি না এই ধইরা নেওয়ার মধ্য দিয়া প্রযোজিত হয়। বা অপরাধী আইন মানতে চাইল কিনা তার প্রয়োজন আইনের পড়ে না।

তাইলে শুনানি বা অপরাধের বর্ণনা অপরাধীকে শোনানোর প্রয়োজন পড়ে কেন? এর পরে যদি এমন হইত যে অপরাধী কনভিন্স হইল না যে তার অপরাধ হইছে সুতরাং তারে শাস্তি দেওয়া গেল না!

কিন্তু তা তো হয় না।

অপরাধী অপরাধের বর্ণনা শুনতে বাধ্য হয়, সে অপরাধ করছে না না করছে তা শুনতে বাধ্য হয়, তদুপরি অপরাধ করলে অন্য শাস্তিও নিতে বাধ্য থাকে। এই ক্ষেত্রে অপরাধী যদি আইন না মানে বা আইনের যে ধর্মীয় উপাচার তা না মানে তাইলে এই পুরা জিনিসটাই অপরাধীর দৃষ্টিতে অহেতুক হওয়ার কথা।

এবং সেক্ষেত্রে অপরাধীদের কাছে আইন মাত্রই বলপ্রয়োগ, অযথার্থ এবং তার প্রতি সংঘটিত অন্যতর অপরাধ। এভাবেই অপরাধীর প্রতি আইন ন্যায়বিচার না বরং প্রতিশোধ আকারে প্রতিভাত হয়।

 

২/১১/২০১৪

Leave a Reply